National

তাঁকে এনকাউন্টারে মারার ছক করা হয়েছিল, বিস্ফোরক তোগারিয়া

গত সোমবার তাঁকে গ্রেফতার করতে রাজস্থান পুলিশ আসে। অথচ যে মামলায় তাঁকে গ্রেফতার করতে আসা তা ২ দশকের পুরনো। পুলিশ আসার আগে তাঁকে কেউ জানান যে তাঁকে এনকাউন্টারে মারার ছক কষা হয়েছে। ফলে দ্রুত তিনি অটোয় চেপে আমেদাবাদের বিশ্ব হিন্দু পরিষদের অফিস থেকে পালিয়ে যান। এদিন সাংবাদিক বৈঠক ডেকে একথা জানান বিশ্ব হিন্দু পরিষদের আন্তর্জাতিক কার্যকরী সভাপতি প্রবীণ তোগারিয়া। তোগারিয়া আরও জানান, তাঁকে কে বা কারা হত্যার ছক করেছিল তার প্রমাণ হাতে নিয়েই তার নাম সামনে আনবেন।

গত সোমবার আমেদাবাদে তাঁর নিখোঁজ হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়তেই রাস্তায় নামেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের কর্মী সমর্থকেরা। বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। এমনকি কোথাও কোথাও রটে যায় প্রবীণ তোগারিয়াকে নাকি হত্যা করা হয়েছে। যা বিক্ষোভের আগুনে অনুঘটকের কাজ করে। এদিকে তোগারিয়ার খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়। অবশেষে তাঁকে অচেতন অবস্থায় আমেদাবাদের শাহিবাগ এলাকায় দাঁড়িয়ে থাকা একটি অটো থেকে উদ্ধার করা হয়। অসুস্থ তোগারিয়াকে তারপরই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এদিকে বিতর্ক উস্কে তাঁকে দেখতে মঙ্গলবার হাসপাতালে হাজির হন গুজরাটের পাতিদার নেতা হার্দিক প্যাটেল ও কংগ্রেস নেতা অর্জুন মোধওয়াদিয়া। এই ২ আপাত বিরোধী নেতার তাঁকে দেখতে যাওয়া কিন্তু রাজনৈতিক জল্পনাকে আরও উস্কে দিয়েছে।


৬২ বছরের বিএইচপি-র এই চিকিৎসক নেতার মন্তব্যে এমনিতেই চাপে বিজেপি। কারণ রাজস্থানে বিজেপি সরকার রয়েছে। তার পুলিশই প্রবীণ তোগারিয়াকে ধরতে আসে। যে বিশ্ব হিন্দু পরিষদকে বিজেপির সহযোগী হিসাবেই জানেন মানুষ। তারওপর তোগারিয়া প্রমাণ হাতে নাম সামনে আনবেন বলছেন। এই অবস্থার সদ্ব্যবহার করে কংগ্রেস ও হার্দিক হাজির হয়েছেন তোগারিয়াকে দেখতে। সবই কিন্তু বিজেপির কপালের ভাঁজ পুরু করছে। এরমধ্যে প্রবীণ তোগারিয়া এদিন অভিযোগ করেন তাঁকে রাম মন্দির ইস্যুতে কথা বলতে বাধা দেওয়া হচ্ছে। ফলে তোগারিয়ার একের পর এক বিস্ফোরক অভিযোগ বিজেপির বিরুদ্ধেই যাচ্ছে। ফলে তোগারিয়া ইস্যু যে বিজেপিকে আর শান্তিতে থাকতে দিল না তা মেনে নিচ্ছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞেরা।


Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button