পুত্রসন্তান নেই। বংশের কুলপ্রদীপ ১২ বছরের ভাই মৃত। ছেলের জন্য বাবা আবার দ্বিতীয়বার বিয়ে করতে পারেন। তাহলে তাদের মায়ের ভবিষ্যৎ কি হবে? একদিকে তিনি একমাত্র ছেলেকে হারিয়ে গভীর শোকে। অন্যদিকে স্বামীর দ্বিতীয় বিয়ের খবরে শঙ্কিত। তাই মায়ের মুখের হাসি ফোটাতে মরিয়া হয়ে ওঠে ২ বোন। তাছাড়া বাবার দ্বিতীয় বিয়ে যেভাবে হোক তাদের আটকাতেই হবে। আর এই সবকিছুর সমাধান একটাই। দরকার একটা পুত্রসন্তান। কিন্তু এত তাড়াতাড়ি শিশুপুত্র দত্তক নেওয়া সম্ভব নয়। তার অনেক আইনি জটিলতা রয়েছে। অভাবের দায়ে কোনও গরিব মা বাবার থেকে সন্তান কিনে নেওয়াতেও আছে ঝুঁকি। অতঃপর সরকারি হাসপাতাল থেকে শিশুপুত্র চুরির পরিকল্পনা করে ফেলে শিবানী দেবী ও প্রিয়াঙ্কা দেবী। তারা ২ জনেই বিবাহিতা। একজন চাকুরীজীবী। আরেকজন পড়ুয়া।
পরিকল্পনা সফল করতে গত ১০ জানুয়ারি ভোরে স্কুটারে চেপে রাজস্থানের ভরতপুর সরকারি হাসপাতালে পৌঁছে যায় ২ বোন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের চোখে ধুলো দিয়ে সদ্যোজাত শিশুসন্তানকে চুরি করতে সফলও হয় তারা। কিন্তু শিশুচুরির ঘটনার পর পুলিশ ব্যাপক খানাতল্লাশি চালাচ্ছে। যদি তারা ধরা পড়ে যায়? সেই ভয়ে চুরির ৩ দিন পরেই রারাহ গ্রামের কাছে সদ্যোজাতকে ফেলে চম্পট দেয় ২ বোন। বাচ্চার পাশে ফেলে যায় একটি দুধের বোতল ও একটি চিরকুট। চিরকুটে সদ্যোজাত শিশুপুত্রটিকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়ার কথা লেখা ছিল। এত কিছুর পরও শিবানী ও প্রিয়াঙ্কা নিজেদের বাঁচাতে পারেনি। হাসপাতালের সিসিটিভি ফুটেজ দেখে শিশুচুরিকাণ্ডে অভিযুক্ত ২ বোনের হদিশ ততদিনে পেয়ে গেছে পুলিশ। উত্তরপ্রদেশের মথুরা থেকে গত সোমবার শিশুচুরির ঘটনায় অভিযুক্ত ২ বোনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।