স্ত্রীর চরিত্র ভালো না। সেই সন্দেহে ২ ছেলের সামনে স্ত্রীকে খুনের অভিযোগ উঠল এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। তার ধারণা তাদের তৃতীয় সন্তানের বাবাও সে নয়। আর সে কারণেই বাকি ২ ছেলেকে বাদ দিয়ে তৃতীয় সন্তানকেও হাতুড়ি দিয়ে মাথা ফাটিয়ে খুন করে সে। নৃশংস এই হত্যাকাণ্ডটি গত সোমবার ঘটেছে দিল্লিতে। যদিও তা প্রকাশ্যে আসে গত মঙ্গলবার।
অভিযুক্ত ওমপ্রকাশ কুমার দিল্লির জাহাঙ্গীরপুরীর বাসিন্দা। শোভাদেবীর সঙ্গে ১৩ বছর আগে বিয়ে হয় তার। অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই ওমপ্রকাশের সঙ্গে নানা বিষয়ে অশান্তি হত শোভাদেবীর। মদ্যপ স্বামীর বিরুদ্ধে পণের দাবিতে অত্যাচারের অভিযোগও দায়ের করেছিলেন তিনি। এমনকি স্বামীর থেকে একসময় আলাদা হয়ে বাপের বাড়ি থাকা শুরু করেন শোভাদেবী। মৃতার পরিবারের দাবি, অভিযুক্ত ওমপ্রকাশ কিছুদিন আগে তার স্ত্রীকে বাপের বাড়ি থেকে নিয়ে যায়। পুলিশের অনুমান, সম্ভবত খুন করতেই স্ত্রীকে নিজের কাছে নিয়ে আসে অভিযুক্ত। গত সোমবার রাতে পরিকল্পনামাফিক ছুরি দিয়ে কুপিয়ে সে খুন করে স্ত্রীকে। আক্রোশের হাত থেকে রেহাই পায়নি ১৮ মাসের শিশুপুত্রও। তার মাথা হাতুড়ি দিয়ে ফাটিয়ে দেয় অভিযুক্ত।
পরদিন সকালে ওমপ্রকাশের ঘরের বাথরুম ব্যবহার করতে যান বাবা খুবি রাম। ঘরে ঢুকে স্তম্ভিত হয়ে যান তিনি। দেখেন, ৬ বছরের নাতি মেঝেতে পড়ে থাকা মা ও ভাইয়ের মৃতদেহের দিকে একদৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। আর ৪ বছরের নাতি তার পাশে ঘুমচ্ছে। ঘটনার আকস্মিকতা কাটিয়ে সাথে সাথে পুলিশে খবর দেন অভিযুক্তের বাবা। পুলিশ এসে মৃতদেহগুলি উদ্ধার করে। সোমবার রাতে ঠিক কি ঘটেছে পুলিশের কাছে বয়ানে জানায় মৃতার বড় ছেলে। মৃতার বাপের বাড়ির তরফ থেকে ওমপ্রকাশের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয় থানায়। তাদের অভিযোগের তির মৃতার শ্বশুরবাড়ির দিকেও। ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ। পলাতক ওমপ্রকাশের খোঁজে শুরু হয়েছে তল্লাশি।