National

গাড়িতে রক্তের দাগ লাগার ভয়ে তুলল না পুলিশ, অবহেলায় মৃত ২ কিশোর

রাস্তার উপর পড়ে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছিল ২ কিশোর। সময়মত দুর্ঘটনাস্থলে এসেও পড়ে পুলিশের টহলদারি গাড়ি। স্থানীয় মানুষ কিশোরদের বাঁচাতে বাড়িয়ে দিয়েছিলেন সাহায্যের হাত। তবুও মৃতপ্রায় ২ কিশোরকে বাঁচানো সম্ভব হল না। অভিযোগ, পুলিশই তো মৃতপ্রায় কিশোরদের হাসপাতালে নিয়ে যেতে রাজি ছিল না। কারণ? গাড়ির সিটে রক্তের দাগ লেগে যাবে যে। তাতে কি? রক্তের দাগ তো ধুয়েও নেওয়া যায়। অভিযোগ, উপস্থিত জনতার সেই যুক্তি মানতে রাজি ছিলেন না পুলিশকর্মীরা। রক্তের দাগ জল দিয়ে ধুলে সিট ভিজে যাবে। তাহলে সারারাত কি করে সেই ভেজা সিটে বসে গাড়িতে করে টহল দেবেন তাঁরা? পুলিশের সেই অদ্ভুত যুক্তি, তর্কবিতর্কের মাঝে পড়ে প্রাণ গেল ২ কিশোরের। সমস্ত ঘটনাটি সেই সময় নিজের ফোনে ভিডিও করে নিচ্ছিলেন কেউ একজন। সেই ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই নড়েচড়ে বসে স্থানীয় প্রশাসন। রক্ষকের এমন অমানবিক চেহারা সামনে আসতে স্তম্ভিত হয়ে গেছে দেশের মানুষ।

গত বৃহস্পতিবার রাতে উত্তরপ্রদেশের সাহারানপুরে পথ দুর্ঘটনার শিকার হয় ২ কিশোর। তাদের একজনের নাম অর্পিত খুরানা। অপরজন সানি গর্গ। সাহারানপুরের সেতুতে ধাক্কা মেরে রাস্তার উপর ছিটকে পড়ে তারা। সাথে সাথে তাদের বাঁচাতে এগিয়ে আসেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। ১০০ নম্বর ডায়াল করে পুলিশের কাছে সাহায্য চান তারা। ঠিক সময়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছেও যায় পুলিশের একটি পেট্রোল কার। কিন্তু সেই গাড়ি করে রক্তাক্ত কিশোরদের হাসপাতালে নিয়ে যেতে ৩ পুলিশকর্মী অসম্মত হন বলে অভিযোগ। আরও অভিযোগ, উপস্থিত জনতার কাকুতি-মিনতি পাত্তা না দিয়ে নিজেদের সিদ্ধান্তে অটল থাকেন পুলিশকর্মীরা। এমনকি তাঁদের সামনে অন্য গাড়ির কাছে সাহায্য চাওয়ার সময়ও নির্লিপ্ত থাকতে দেখা যায় আইনের রক্ষকদের! বেশ কিছু সময় পরে থানা থেকে আরেকটি গাড়ি এসে জখম কিশোরদের উদ্ধার করে হাসপাতালের দিকে রওনা দেয়। কিন্তু ততক্ষণে দেরি হয়ে গেছে অনেকটাই। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা জানান মৃত্যু হয়েছে ২ কিশোরের। ঘটনার তদন্তে নেমে অভিযুক্ত পুলিশকর্মীদের বরখাস্ত করেছে স্থানীয় প্রশাসন।



Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button