‘ভারতের বিন লাদেন’ হিসাবে তার পরিচিতি। সাক্ষাত সন্ত্রাসের মুখ। মুম্বইতে পড়াশোনা। সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার। কাজ করেছে বেশ কিছু সংস্থায়। কিন্তু তারপর একসময়ে জড়িয়ে পড়ে ‘সিমি’র সঙ্গে। নিজের পড়াশোনা লব্ধ জ্ঞান ব্যবহার করা শুরু করে মারণ বোমা তৈরির কাজে। নাম জড়ায় ২০০৮ সালের গুজরাট বোমা বিস্ফোরণে। সেই কুখ্যাত সন্ত্রাসবাদী ভারতের বিন লাদেন হিসাবে পরিচিত আবদুল সুভান কুরেশি ওরফে তৌকির-কে গ্রেফতার করতে সমর্থ হল পুলিশ। দীর্ঘ দিন ধরেই এনআইএ-এর মোস্ট ওয়ান্টেডের তালিকায় নাম ছিল তার। হন্যে হয়ে তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছিল। অবশেষে দিল্লি পুলিশ গ্রেফতার করল তাকে। দিল্লির গাজিপুরের একটি জায়গা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয় বলে জানিয়েছে দিল্লি পুলিশ। গ্রেফতারটা অবশ্য খুব সহজ ছিলনা। কারণ তাকে ধরতে পুলিশ গেলে সেখানে বেশ কিছুক্ষণ গুলির লড়াই হয়। তারপরই ৪৬ বছরের এই কুখ্যাত সন্ত্রাসবাদীকে গ্রেফতার করতে সমর্থ হয় পুলিশ।
২০০৮ সালে গুজরাট বোমা বিস্ফোরণ, যেখানে ৫৬ জনের মৃত্যু হয়, সেই ঘটনায় নাম জড়ায় আবদুল সুভান কুরেশি-র। এরপর ২০১০ সালে দিল্লির ধারাবাহিক বিস্ফোরণ ও ২০১৪ সালে বেঙ্গালুরু বিস্ফোরণেও নাম জড়ায় তার। এনআইএ তাকে তন্নতন্ন করে খুঁজছিল। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, দীর্ঘদিন নেপালে ভুয়ো কাগজের ভরসায় লুকিয়ে থাকার পর সেখান থেকে সৌদি আরবে পালায় আবদুল সুভান কুরেশি। সেখান থেকে সম্প্রতি সে ফের ভারতে ফেরে। প্রজাতন্ত্র দিবসের আগে তাকে পাকড়াও করা অবশ্যই দিল্লি পুলিশের জন্য একটা বড় সাফল্য।