একসাথে থাকলেও বনিবনা যে হচ্ছিলনা, তা বারবার প্রকাশ্যে এসে পড়ছিল। ঘরের ঝগড়া নেমে আসছিল রাস্তায়। ২০১৪-তে জোট সরকার গড়লেও তা দুদিক থেকেই ছিল পাঁচন গেলার মত। এরমধ্যে বেশ কয়েকবার কেন্দ্রের মোদী সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের কড়া ভাষায় সমালোচনা করেছে শিবসেনা। ফলে যে কোনও দিন সম্পর্কে ইতির সম্ভাবনা প্রকট হচ্ছিল ক্রমশ। সেসব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে বাল ঠাকরের দল শিবসেনা তাদের কর্মসমিতির বৈঠকে এদিন সিদ্ধান্তটা নিয়েই ফেলল। বিজেপির সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার সঞ্জয় রাউতের প্রস্তাবের পক্ষে ছিলেন শিবসেনার প্রায় সব নেতাই। ফলে সিদ্ধান্ত গৃহীত হতে সময় লাগেনি। শিবসেনা নেতা সঞ্জয় রাউত পরে জানান, ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনেও তাঁরা একাই লড়বেন।
এখন প্রশ্ন হল মহারাষ্ট্রে শিবসেনা পাশ থেকে সরে গেলে রাজ্যে বিজেপি শিবসেনা জোট মুখ থুবড়ে পড়বে। সেক্ষেত্রে দেবেন্দ্র ফড়নবিশের সরকার ২০১৯ পর্যন্ত তাদের পুরো কার্যকাল অতিক্রম করবে কার কাঁধে ভর করে? কারণ বিধানসভায় ১২২টি আসন বিজেপির রয়েছে। যা নিরঙ্কুশ নয়। এতদিন শিবসেনার ৬৩টি আসন সঙ্গে থাকায় কোনও সমস্যা ছিলনা। কিন্তু এখন তো বিধানসভায় সংখ্যালঘু হয়ে পড়বে ফড়নবিশ সরকার। সেক্ষেত্রে এখন বিজেপির শেষ ভরসা শরদ পাওয়ারের এনসিপি। এনসিপির হাতে রয়েছে ৪১টি আসন। আর কংগ্রেসের হাতে ৪২টি। কংগ্রেসের সঙ্গে জোটের প্রশ্ন উঠছে না। তাহলে পড়ে থাকে এনসিপি।
যদিও শিবসেনার ঘোষণার পরও মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশের আশা বিজেপি শিবসেনা জোট সরকারই মহারাষ্ট্রে ২০১৯ পর্যন্ত সরকার সামলাবে। এখন দেখার এই অবস্থায় রাজনৈতিক সমীকরণ কোন পথে হাঁটে।