
মাথায় বন্দুক ধরে আছে ৩ দুষ্কৃতি। একটু নড়লেই প্রাণনাশের আশঙ্কা। কিছুটা দূরে ঝোপের মধ্যে ধর্ষিতা হচ্ছেন স্ত্রী। কিন্তু তাঁকে বাঁচানোর উপায় নেই স্বামীর। বৌদিকে ধর্ষকের লালসার হাত থেকে বাঁচাতে পারছেন না দেওরও। তাঁর মাথাতেও বন্দুক ধরে আছে দুষ্কৃতিরা। ধর্ষণের এমন পৈশাচিক মত্ততার ঘটনা ঘটল সেই গুরুগ্রামেই।
গত রবিবার রাতে একটি অনুষ্ঠান থেকে স্বামী ও দেওরের সঙ্গে বাড়ি ফিরছিলেন নির্যাতিতা মহিলা। গুরুগ্রামের সেক্টর ৫-এ বাণিজ্য উদ্যানের কাছে প্রস্রাব করতে নামেন তরুণীর স্বামী ও দেওর। সেইসময় তাঁদের গাড়ির কাছে এসে থামে আরেকটি গাড়ি। এত রাতে ওই স্থানে তাঁদের গাড়ি দাঁড়িয়ে থাকার কারণ জানতে চায় অন্য গাড়ির ভিতরে থাকা ৪ ব্যক্তি। অভিযোগ, এরপরেই অপরিচিত ৪ ব্যক্তি মহিলাকে গাড়ির ভিতর থেকে টেনে হিঁচড়ে গাড়ির বাইরে নিয়ে আসে। সেই মুহুর্তে ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছন মহিলার স্বামী ও দেওর। দুষ্কৃতিদের বাধা দিতে গেলে তাঁদের মাথায় ৩ জন বন্দুক ধরে বলে অভিযোগ। এরপর বন্দুকের নলের সামনে অসহায় স্বামী ও দেওরের চোখের সামনে দিয়ে উন্মত্ত লালসায় ওই মহিলাকে টেনে পাশের ঝোপে নিয়ে যায় এক দুষ্কৃতী। সেখানেই ঝোপের ভিতরে নিয়ে গিয়ে মহিলাকে ধর্ষণ করে সে।
ঘটনার কথা জানাজানি হলে তাঁদের ৩ জনকে মেরে ফেলা হবে বলে হুমকিও দেয় অভিযুক্তেরা। এরপর ধর্ষিতা মহিলা, তাঁর স্বামী ও দেওরের সামনেই বহাল তবিয়তে গাড়ি চড়ে এলাকা ছাড়ে দুষ্কৃতীরা। এদিকে ঘটনাস্থল ছেড়ে চলে যাওয়ার সময় অভিযুক্তদের গাড়ির নম্বর নোট করে নেন নিগৃহীতার স্বামী। ঘটনার তদন্তে নেমে সোমবার ৪ অভিযুক্তকেই গ্রেফতার করে গুরুগ্রাম পুলিশ।