দূর থেকে হুইসল দিতে দিতে ছুটে আসছে ট্রেন। সেদিকে তাকিয়ে এক যুবক। কখন ট্রেন তার ওপর দিয়ে যাবে সেই অপেক্ষায় রেললাইনের ওপর সটান শুয়ে আছে সে। না, আত্মহত্যা করা তার উদ্দেশ্য নয় মোটেই। তাহলে ট্রেন ঘাড়ের কাছে আসতেই হাতের মধ্যে মাথা গুঁজে নিত না সে। আসলে শরীরের ওপর দিয়ে ট্রেন চলে গিয়েও যে তার কিচ্ছু হল না, এটাই দুনিয়াকে দেখাতে চেয়েছিল যুবক। যথারীতি রেললাইন দিয়ে ঝমঝমিয়ে ট্রেন চলে গেল যুবকের শায়িত শরীরের ওপর দিয়ে। ট্রেন যাওয়ার অপেক্ষা। লাফ দিয়ে উঠে যুদ্ধ জয়ের আনন্দে মেতে উঠতে দেখা গেল যুবককে। যুবকের সেই কেরামতির ভিডিও আবার দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ক্যামেরাবন্দি করলেন অপর কেউ।
সোশ্যাল মিডিয়ায় জনপ্রিয় হতে গিয়ে প্রাণঘাতী সেলফি তোলা বা ভিডিও রেকর্ড করা আধুনিক প্রজন্মের নতুন ব্যাধি। সেই ব্যাধি যে কতটা মারাত্মক আকার ধারণ করেছে তা আরও একবার প্রমাণ করলেন কাশ্মীরের এই অজ্ঞাতনামা যুবক। তাঁর হাড়হিম করা স্টান্টের ভিডিও সম্প্রতি ঝড় তুলেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেই ভিডিওটি প্রকাশ্যে আসতেই নড়েচড়ে বসেছে কাশ্মীর প্রশাসন। এদিকে যুবকের এই ধরণের হঠকারী প্রাণঘাতী কার্যকলাপ প্রভাবিত করতে পারে বাকিদেরও। এই আশঙ্কায় স্টান্টকারী যুবকের গ্রেফতারির দাবিতে সরব হয়েছেন নেটিজেনরা। যুবকের অবিবেচকের মতো কাজের কড়া ভাষায় সমালোচনা করেছেন কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাও। যুবকের অ্যাডভেঞ্চারকে ‘বোকামি’ বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। ট্রেন যখন যুবকের শরীরের ওপর দিয়ে যাচ্ছিল, তখন হাওয়ায় উড়ছিল তাঁর পরনের পোশাক। কোনোভাবে যদি সেই পোশাক দুরন্ত গতির ট্রেনের কোনও অংশে আটকে যেত, তাহলে কি হত? প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন অনেকেই।