মহারাষ্ট্রের কোলাপুরে মর্মান্তিক বাস দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল ১৩ জনের। গুরুতর জখম ৩ জন। আহতদের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে অনুমান। শুক্রবার গভীর রাতে ১৬ জন যাত্রীকে নিয়ে রত্নগিরি থেকে কোলাপুরের দিকে যাচ্ছিল বাসটি। যাত্রীদের প্রত্যেকেই পুনের বালেওয়াড়ি থেকে গণপতি ফুলে যাওয়ার জন্য বাসটিতে ওঠেন। মহারাষ্ট্রের শতাব্দী প্রাচীন শিবাজি সেতুর কাছে আসতেই আচমকা নিয়ন্ত্রণ হারান বাস চালক। বাস গিয়ে সোজা ধাক্কা মারে সেতুর দুপাশে দেওয়া সিমেন্টের গাঁথনিতে। তারপর সেই দেওয়াল ভেঙে বাস গিয়ে পড়ে ১০০ ফুট নিচে পঞ্চগঙ্গা নদীর বুকে। সলিল সমাধি হয়ে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ১৩ জন বাস যাত্রীর। যাঁদের মধ্যে শিশুসহ বেশ কয়েকজন মহিলাও রয়েছেন। স্থানীয়দের থেকে খবর পেয়ে দুর্ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় পুলিশ ও দমকলবাহিনী। রাতভর উদ্ধারকাজ চালিয়ে বাসের মধ্য থেকে বার করে আনা হয় মৃত ও আহত যাত্রীদের। ঠিক কি কারণে বাস চালক নিয়ন্ত্রণ হারান তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
প্রবল বেগে বাস নিচে পড়ার কারণেই বাসের সিংহভাগ যাত্রীর মৃত্যু হয়েছে বলে অনুমান পুলিশের। রাত পৌনে ১২টা নাগাদ এলাকা নির্জন হয়ে গিয়েছিল। ফলে দুর্ঘটনাস্থলে খবর পেয়ে দ্রুত উপস্থিত হতে পারেনি উদ্ধারকারী বাহিনী। দ্রুত উদ্ধারকাজ শুরু হলে হয়তো এতগুলো মানুষের প্রাণ যেত না। এই আক্ষেপই করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।