খুন, অপহরণ, ডাকাতি। প্রায় ১৫ রকমের কুকর্মের জন্য ২০১৫-য় জেলে যেতে হয়েছিল পঞ্জাবের গ্যাংস্টার ভিকি গাউন্দারকে। ২০১৬ সালে জেল থেকে পালিয়েও যায় সে। তবে বেশিদিন গা ঢাকা দিয়ে থাকা হলনা এই ‘কুখ্যাত’ গ্যাংস্টারের। পুলিশের ‘এনকাউন্টার’-এ নিকেশ হল ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ ভিকি গাউন্দার। তার সঙ্গে খতম আরও ২ দুষ্কৃতি। ভিকির ডেরায় তল্লাশি চালিয়ে ৩টি পিস্তল উদ্ধার করেছে পুলিশ।
পাঞ্জাব-রাজস্থান সীমান্তের কাছে আত্মগোপন করে আছে গ্যাংস্টার ভিকি গাউন্দার। সঙ্গে আছে তার ২ শাগরেদ। খবর পেয়ে রাজস্থানের গঙ্গানগর জেলার পাক্কি গ্রামে গত শুক্রবার বিকেলে হানা দেয় পুলিশ। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ডেরার ভিতর থেকে ভিকি গাউন্দার ও তার সঙ্গীরা প্রথমেই গুলি ছোঁড়া শুরু করে। পাল্টা প্রতিরোধের পথে হাঁটে পঞ্জাব ও রাজস্থান পুলিশের যৌথ বাহিনী। প্রায় ঘণ্টা খানেক ধরে চলে সেই গুলির লড়াই। গুলির লড়াইয়ে ডেরার মধ্যেই খতম হয়ে যায় ভিকি গাউন্দার। পালাতে গিয়ে পুলিশের গুলি খেয়ে মারা যায় প্রেমা লাহরিয়া নামে অপর এক দুষ্কৃতি। পুলিশের গুলিতে আহত আর এক দুষ্কৃতি লখবিন্দর সিংয়ের পরে হাসপাতালে মৃত্যু হয়। দুষ্কৃতিদের ছোঁড়া গুলিতে আহত হন ২ পুলিশকর্মীও। বছরের শুরুতেই পঞ্জাবের ত্রাসকে খতম করতে পারাকে বড় সাফল্য হিসাবেই দেখছে পঞ্জাব পুলিশ।