মামা ডাক বিভাগের কর্মী। আর কয়েক দিন পরেই চাকরি থেকে অবসর নেবেন তিনি। তার আগেই টাকা হাতাতে হবে। এই মতলবে ডাকঘরে ঢুকেছিল ভাগ্নে। মামা বেঁচে থাকলে টাকা চুরি করা যাবে না। অভিযোগ, সেই কারণে নিজের মামাকে পিটিয়ে খুন করল ভাগ্নে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে দিল্লির রোহিণী এলাকায়।
মৃত সুশীল কুমার সাইনি দিল্লির নাহারপুর এলাকার বাসিন্দা। গত শনিবার বিকেলে নিজের কর্মস্থলেই ছিলেন তিনি। দিল্লির রোহিণী এলাকায় একটি ডাকঘরের কর্মচারি ছিলেন ওই ব্যক্তি। আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে চাকরি থেকে অবসর নেওয়ার কথা ছিল তাঁর। কিন্তু তার আগেই ডাকঘরের ভিতর থেকে উদ্ধার হয় সুশীল কুমারের নিথর দেহ। তাঁর হাত-পা দড়ি দিয়ে শক্ত করে বাঁধা, মুখ আটকানো সেলোটেপ দিয়ে। মাথায় ভারী বস্তু দিয়ে আঘাতের চিহ্ন। ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশের নজরে আসে ডাকঘর থেকে উধাও সিসিটিভি ফুটেজ। তার সাথে গায়েব ২০ হাজার টাকা। এরপরেই এলাকাবাসীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা শুরু করে পুলিশ। ডাকঘর সংলগ্ন অঞ্চলের সিসিটিভি ফুটেজ থেকে চিহ্নিত করা হয় ১ সন্দেহভাজনকে। সে আর কেউ নয়, মৃত ব্যক্তির ১৬ বছরের ভাগ্নে। তাকে গত রবিবার গ্রেফতার করে পুলিশ। তার কাছ থেকে উদ্ধার হয় চুরি যাওয়া টাকা, সিসিটিভি ফুটেজসহ একটি ব্যাট।
জেরায় অভিযুক্ত জানায়, গত শনিবার বিকেলে দফতরের ভিতরে একাই ছিলেন তার মামা। সেইসময় দফতরে পৌঁছয় সে। টাকা চুরি করতে গেলে পথের কাঁটাকে উপড়ে ফেলতে হবে। তাই পরিকল্পনামাফিক প্রথমে মামার হাত পা দড়ি দিয়ে শক্ত করে বেঁধে ফেলে অভিযুক্ত কিশোর। মামার চিৎকার যাতে বাইরে না পৌঁছয় সেজন্য মুখ বন্ধ করে দেওয়া হয় সেলোটেপ দিয়ে। তারপর ব্যাট দিয়ে মামার মাথায় সজোরে আঘাত করে সে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় মামার। প্রমাণ লোপাট করতে এরপর ডাকঘরের ভিতরের সিসিটিভি ফুটেজ সরিয়ে নেয় ওই কিশোর। তারপরে ২০ হাজার টাকা চুরি করে ঘটনাস্থল ছেড়ে চম্পট দেয় সে।