প্রেমিকার সঙ্গে রাখা যাবে না সম্পর্ক। পরিবার থেকে চাপ আসছিল অনেকদিন থেকেই। তার ওপরে পরীক্ষায় পাশ করতে না পারার গ্লানি। সব মিলিয়ে চূড়ান্ত হতাশা থেকে আত্মহননের পথ বেছে নিল এক কিশোর। অন্তত প্রাথমিক তদন্তের পর এমনই মনে করছে পুলিশ। ভিডিও কলে বান্ধবীর সামনেই মাথায় গুলি করে নিজেকে শেষ করে দিল সে।
গত সোমবার রাতে বিহারের পাটনার সাইচক এলাকায় নিজের বাড়িতে একা ছিল আকাশ কুমার। বান্ধবীকে শেষবারের মতো হোয়াটসঅ্যাপে ভিডিও কলে দেখতে চেয়েছিল সে। কথা বলতে বলতে আচমকাই ওই কিশোর একটি পিস্তল বার করে। ফোনটাকে পায়ের ফাঁকে রেখে নিজের মাথায় গুলি চালিয়ে দেয় সে। প্রেমিকের সাড়াশব্দ না পেয়ে ভয় পেয়ে যায় নবম শ্রেণিতে পাঠরতা বান্ধবী। সমস্ত ঘটনার কথা ফোন করে সে জানায় প্রেমিকের এক তুতো ভাইকে। মঙ্গলবার ভোরে ঘরে ঢুকে মৃত কিশোরের দেহ দেখতে পায় সে। খবর দেওয়া হয় বাড়ির লোক ও পুলিশকে। মৃতের ঘর থেকে একটি পিস্তল, লোডেড ম্যাগাজিন ও একটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করে পুলিশ। পুলিশের অনুমান, গভীর অবসাদ থেকে কিশোর আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছে। কিন্তু, এক সাধারণ স্কুল পড়ুয়া ছাত্রের কাছে আগ্নেয়াস্ত্র এল কি করে? তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। কিশোরের অকালমৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে তার পরিবারে।