পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল শাসিত রাজ্য। এখানে এখনও তৃণমূল হাওয়া দাপটের সঙ্গে বইছে। সেখানে নোয়াপাড়া বিধানসভা আসন বা উলুবেড়িয়া লোকসভা আসনে জয় তো বোঝা গেল। কিন্তু যে রাজ্যে একচেটিয়া বিজেপি আধিপত্য। যেখানে রাজ্য সরকার বিজেপির। সেখানে বিজেপির এমন করুণ পরাজয় কিন্তু গেরুয়া শিবিরকে স্বস্তিতে আর থাকতে দিলনা। গুজরাট থেকে যে ধাক্কা শুরু হয়েছে, তা পুর নির্বাচন থেকে উপনির্বাচন সর্বত্রই বিজেপিকে ব্যাকফুটে রেখে দিচ্ছে। হারের মুখ দেখাচ্ছে। এদিন রাজস্থানের আজমের ও আলোয়ার লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপির পরাজয় কিন্তু ফের সেই ইঙ্গিত বহন করল। প্রসঙ্গত এই ২ কেন্দ্রই দখলে ছিল বিজেপির। গত ২০১৪ লোকসভায় এই দুই আসন থেকেই জিতেছিল বিজেপি।
এদিন কিন্তু সকাল থেকেই এই দুই আসনে এগিয়ে ছিল কংগ্রেস। কিন্তু মণ্ডলগড় বিধানসভা আসনে পিছিয়ে পড়ে রাহুল গান্ধীর দল। ২ কেন্দ্রে পিছিয়ে থাকা বিজেপি দফতরে তখন শ্মশানের নিস্তব্ধতা। তবু একটা আশা ছিল যে মণ্ডলগড়টা অন্তত জিতবে। কিন্তু বেলা গড়াতে সেখানেও উলটপুরাণ। মণ্ডলগড়েও এগিয়ে যায় কংগ্রেস। এরপর বেলা যত গড়িয়েছে ততই ব্যবধান বেড়েছে ভোটের। হার নিশ্চিত হয়েছে বিজেপির। কংগ্রেস শিবিরে উল্লাসের আবহ তৈরি হয়েছে। আর বিজেপি দফতরে নেমেছে শোকস্তব্ধ থমথমে ভাব।
এদিন মণ্ডলগড় বিধানসভা আসনে প্রায় ১৩ হাজার ভোটে জয়ী হন কংগ্রেস প্রার্থী। সকাল থেকে এগিয়ে ছিলেন বিজেপির শক্তি সিং হাডা। কিন্তু বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কংগ্রেসের বিবেক ধাকাড় এগোতে শুরু করেন। সেই লিড নেওয়া গণনার শেষ পর্যন্ত বজায় ছিল।
আলোয়ার লোকসভা কেন্দ্র থেকে কংগ্রেসের করণ সিং যাদব জেতেন ১ লক্ষ ৯৬ হাজার ৪৯৬ ভোটে। বড় ব্যবধানে জয় আসে ঝুলিতে। হারান বিজেপির যশবন্ত যাদবকে। অন্যদিকে আজমের লোকসভা কেন্দ্রে কংগ্রেসের রঘু শর্মা হারান বিজেপির রামস্বরূপ লাম্বাকে। এখানেও কংগ্রেস বড় ব্যবধানে জয় পায়।
জয়ের জন্য রাজস্থান কংগ্রেসকে অভিনন্দন জানিয়ে ট্যুইট করেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। রাজস্থান উপনির্বাচনে বিজেপির বসুন্ধরা রাজে বনাম কংগ্রেসের তরুণ মুখ শচীন পাইলটের যুদ্ধে শেষ হাসি হাসলেন শচীনই। এদিন গোটা দেশে লোকসভা, বিধানসভা মিলিয়ে ৫টি আসনে নির্বাচনের ফল ঘোষণা হল। যার সবকটিতেই ধরাশায়ী হল বিজেপি।