স্কুল কর্তৃপক্ষের দাবি, পেটের সমস্যা থেকে মৃত্যু হয়েছে ছাত্রের। পরিবারের দাবি, খুন করা হয়েছে তাঁদের ছেলেকে। পুলিশের দাবি, মৃত ছাত্রের শরীরে নেই কোনও আঘাতের চিহ্ন। তবে কার দাবি সঠিক? এই নিয়ে এখন বিতর্কের কেন্দ্রে দিল্লির কারোয়াল নগরের জীবন জ্যোতি সিনিয়র সেকেন্ডারি স্কুল।
গত বৃহস্পতিবার সকালে স্কুলের শৌচালয় থেকে উদ্ধার হয় এক পড়ুয়ার দেহ। তুষার কুমার নামে ওই ছাত্র নবম শ্রেণিতে পড়ত। স্কুলের উঁচু ক্লাসের ছাত্রেরা শৌচালয়ে ওই ছাত্রের অচৈতন্য দেহ পরে থাকতে দেখে। খবর দেওয়া হয় স্কুল কর্মীদের। তাঁরাই ছাত্রকে প্রথমে নিয়ে যান স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে। সেখান থেকে ওই ছাত্রকে নিয়ে যাওয়া হয় গুরু তেগ বাহাদুর হাসপাতালে। সেখানে তুষার কুমারকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা।
মৃত ছাত্রের পরিবারের অভিযোগ, তুষারকে পিটিয়ে খুন করা হয়েছে। সেই খুন করেছে স্কুলের উঁচু ক্লাসের ছাত্রেরাই। মৃত ছাত্রের পরিবারের দাবি মানতে নারাজ স্কুল কর্তৃপক্ষ। তাদের পাল্টা দাবি, তুষারের ডায়রিয়া হয়েছিল। যে কারণে সে অসুস্থ হয়ে পড়ে এবং জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। অসুস্থতার কারণেই ওই ছাত্রের পরে মৃত্যু হয়। মৃত ছাত্রের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে খুনের মামলা রুজু করেছে পুলিশ। যদিও মৃত পড়ুয়ার গায়ে কোনও আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে তারা।
২০১৭-র সেপ্টেম্বরে গুরুগ্রামের রায়ান ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র প্রদ্যুম্ন ঠাকুরকে গলা কেটে খুন করা হয়েছিল। সেই খুনের ছায়া কি তবে এবার ফের ফিরল দিল্লির বুকে? নবম শ্রেণির ছাত্রের মৃত্যুতে উঠে আসছে সেই প্রশ্ন। ঘটনার তদন্তে নেমে স্কুলের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখছে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে স্কুলের উঁচু ক্লাসের সেইসব ছাত্রদের, যারা মৃত ছাত্রকে প্রথম দেখতে পেয়েছিল।