ছেলে বেঁচে থাকলে প্রেমিকের সাথে সুখে ঘর করা যাবেনা। অভিযোগ, এই কারণে নিজের ১৮ মাসের ছেলেকে খুন করল মা। সেই কাজে তাকে সাহায্য করল প্রেমিক ও তার বন্ধু।
দুধের শিশুকে খুন করে অবশ্য বিন্দুমাত্র বিচলিত নয় মমতা যাদব। মুম্বইয়ের কাছে ভিওয়ান্ডি গ্রামে বীরেন্দ্র কুমারের সঙ্গে ৩ বছর আগে বিয়ে হয় তার। বিয়ের কিছুদিন পর মমতা যাদব জন্ম দেয় শিশুপুত্রের। অভিযোগ, ছেলে আরিয়ানের জন্মের পর রাকেশ প্যাটেল নামে এক প্রতিবেশি যুবকের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি হয় মমতার। ২০১৭-র নভেম্বরে স্বামী সন্তানকে ছেড়ে প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়েও যায় মমতা ও রাকেশ। কিছুদিন পর অবশ্য তারা ফিরেও আসে ভিওয়ান্ডি গ্রামে। স্বামীর বাড়ির কাছাকাছি এলাকায় প্রেমিকের সাথে থাকতে শুরু করে মমতা। পুলিশের অনুমান, ছোট্ট শিশুটি প্রেমের পথে পরবর্তীকালে বাধা হয়ে উঠতে পারে। এই আশঙ্কায় প্রেমিকের সঙ্গে মিলে ছেলেকে মারার পরিকল্পনা করে মমতা। তাদের কাজে সাহায্য করে অজিত পাসোয়ান নামে এক তরুণ।
গত বুধবার বিকেলে ছেলেকে ঘরে রেখে কিছুক্ষণের জন্য বাইরে গিয়েছিলেন বীরেন্দ্র কুমার। তাঁর অভিযোগ, সেই সুযোগে ঘরে ঢুকে ছেলেকে শ্বাসরোধ করে খুন করে স্ত্রী। সেই কাজে মমতাকে সাহায্য করে তার প্রেমিক রাকেশ। ঘরে ফিরে ছেলেকে দেখতে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন শিশুটির বাবা। একসময় সন্দেহ হওয়ায় স্ত্রীর কাছেও যান তিনি। কিন্তু ছেলের কোনও খোঁজ সে জানে না বলে স্বামীকে জানায় মমতা যাদব। এরপরেই শিশু নিখোঁজের ঘটনা নারপোলি থানায় জানান তার বাবা। ঘটনার তদন্তে নেমে শিশুর মা ও তার প্রেমিককে জেরা করে পুলিশ। জেরায় ছেলেকে গলা টিপে খুন করে মাটিতে পুঁতে দেওয়ার কথা স্বীকার করে শিশুটির মা। স্বীকারোক্তির পরে বৃহস্পতিবার অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে পুলিশ। উদ্ধার করা হয় ১৮ মাসের আরিয়ানের নিথর দেহ।