জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা প্রকল্প অনুসারে উত্তরপ্রদেশের প্রেমগঞ্জ ও চকমিরপুর এলাকায় গিয়েছিল একটি মেডিক্যাল টিম। খবর ছিল, ওই এলাকার একাধিক মানুষ এইচআইভি-তে আক্রান্ত। জানুয়ারির ২৫, ২৬ ও ২৭, এই ৩ দিনের জন্য এলাকায় বসে একটি মেডিক্যাল ক্যাম্প। সেখানে ৫৬৬ জন মানুষের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। পরীক্ষার রিপোর্ট হাতে আসতেই মুখে কথা সরছিলনা তাঁদের। ৫৬৬ জনের মধ্যে ৪০ জনের শরীরে বাসা বেঁধেছে এইচআইভি জীবাণু। একই এলাকার একসঙ্গে এতজন মানুষ কিভাবে এই রোগে আক্রান্ত হলেন? সেই খোঁজ করতে গিয়ে আরও অবাক হয়ে যান তদন্ত কমিটির আধিকারিকরা।
জানা যায়, সস্তায় রোগীর চিকিৎসা করতে গিয়ে এমন ‘কুকীর্তি’ করেছেন এক ‘হাতুড়ে’ ডাক্তার। রাজেশ কুমার নামে ওই ব্যক্তির চেম্বার উত্তরপ্রদেশের উন্নাও এলাকার পাশে। অভিযোগ, দিনের পর দিন তিনি একই সিরিঞ্জ দিয়ে একাধিক রোগীকে ইঞ্জেকশন দিতেন। যার ফলে একসঙ্গে এতজন মানুষ এইচআইভি-তে আক্রান্ত হয়ে পড়েন। অভিযুক্ত হাতুড়ে ডাক্তারের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়েছে কানপুরের একটি চিকিৎসা কেন্দ্রে।