স্থানের বিশেষত্বভেদে পাল্টে যায় মানুষের ‘ড্রেস কোড’। বাড়িতে, কর্মক্ষেত্রে বা অনুষ্ঠান উপলক্ষে মানুষের পোশাকের পরিবর্তন হয়। একঘেয়ে পোশাক নিত্যদিন ব্যবহার করাও যায় না। সেখানে একজন দেবীর কাঁহাতক একই শাড়ি পরে ভক্তদের সামনে আসতে ভালো লাগে? তিনি মূর্তিমান, তা বলে তো আর প্রাণহীন নন। তাই দেবীর পুরনো শাড়ি পাল্টে তাঁকে ‘নতুন লুক’ দিতে চেয়েছিলেন সেবায়েত। পরনে নীল রঙের ওড়না আর গোলাপি রঙের জামা। এই পোশাকে একেবারে ‘মডার্ন লুক’ দেওয়া হয় শতাব্দীপ্রাচীন দেবীকে। তারপর দেবীর সেই নতুন পোশাকের ছবি তুলে পুরোহিত পাঠিয়ে দেন তাঁর কিছু বন্ধুকে। বন্ধুরা সেই ছবি পোস্ট করে দেয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। এরপরেই ক্ষুব্ধ মন্দির কর্তৃপক্ষ বরখাস্ত করে দেবীর ২ পূজারিকে।
তামিলনাড়ুর নাগাপট্টিনম জেলার হাজার বছরের প্রাচীন মন্দির ময়ূরানাথাস্বামী। মন্দিরের প্রতিষ্ঠিত দেবী অভয়াম্বলকে ৬ মাস আগে দেখাশোনার দায়িত্ব পান রাজ নামে এক পূজারী। মন্দিরের বরিষ্ঠ পুরোহিত তাঁর বাবা। ৬ মাস ধরে দেবীর পরিচর্যা ভালই নিচ্ছিলেন পিতা-পুত্র। সম্প্রতি দেবীর পোশাক পাল্টাতে গিয়ে নতুন ভাবনা মাথায় আসে যুবক পূজারীর মাথায়। দেবীমূর্তিকে রঙিন সালোয়ারে সাজিয়ে তোলেন ওই যুবক। তাঁর সেই কীর্তি সামনে আসতেই ভয়ানক ক্ষুব্ধ হন মন্দির কর্তৃপক্ষ। শাড়িতেই গত ১০০০ বছর ধরে সেজে উঠেছেন দেবী অভয়াম্বল। এটাই তাঁর সনাতনি সাজ। সেই সাজে ‘আধুনিকত্ব’-এর ছোঁয়া আনার অপরাধে গত সোমবার চাকরি থেকে বহিষ্কার করা হয় পিতা ও পুত্র ২ জনকেই।