গভীর রাতে রাস্তা এমনিতেই শুনশান হয়ে যায়। জনমানবহীন রাস্তায় থাকে না ট্রাফিক পুলিশের নজরদারিও। তাই মাথায় হেলমেট ছাড়াই বাইক নিয়ে বেড়িয়ে পড়েছিলেন অভিষেক কুমার। ২১ বছরের যুবক অভিষেক পেশায় ডিস্কো জকি। গত বুধবার রাতে কাজ করে তিনি ফিরছিলেন দিল্লির শাকুরপুর জেজে কলোনির বাড়িতে। দ্রুত গতিতে রাজধানীর ফাঁকা রাজপথে বাইক ছুটিয়ে যাচ্ছিলেন ওই যুবক। এমনিতে দূষণের প্রকোপে সারাবছরই কমবেশি কুয়াশার চাদরে মুড়ে থাকে দিল্লি। শীতের দিনে তা ভয়ংকর চেহারা নেয়। বুধবার রাতেও ভালোই কুয়াশা ছিল রাস্তায়। তাই সামান্য দূরত্বও ভালমতো নজরে আসছিলনা ওই যুবকের। নাহলে হয়তো বাইকের গতি কমিয়ে দিতেন তিনি। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, দুরন্ত গতিতে বাইক চালিয়ে যুবক পার হতে যান শাকুরপুরের এফ ব্লকের রাস্তা। সেই রাস্তার দুপাশে রাখা ছিল পুলিশের কয়েকটি ব্যারিকেড। ব্যারিকেডগুলি একে অপরের সাথে বাঁধা ছিল একটি সরু তার দিয়ে। কুয়াশা থাকায় সেই তার অভিষেক কুমারের চোখে পড়েনি বলে ধারণা পুলিশের। দুর্ভাগ্যবশত দ্রুত গতিতে ছুটে আসা বাইকে বসা যুবকের গলায় লাগে ওই তার। তারে কেটে যায় গলা। শুরু হয় রক্তপাত। তখন নজরে না পড়লেও বৃহস্পতিবার সকালে রক্তাক্ত যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। মৃতের পরিবারের অভিযোগ, ঘটনাস্থলে পুলিশ থাকলে এমন মর্মান্তিক পরিণতি হত না তাঁদের ছেলের। ছেলের মৃত্যুর জন্য দায়ী পুলিশকর্মীদের শাস্তির দাবি জানিয়েছে শোকার্ত পরিবার।
রাস্তার মাঝখানে ওইভাবে তার লাগানো বিপদজনক। আর যখন ওভাবে তার লাগানোই হয়েছিল, তাহলে উচিত ছিল সেখানে কর্তব্যরত পুলিশকর্মীর উপস্থিতি। কিন্তু ঘটনাস্থলে টহলদারি না করার অভিযোগে ৫ পুলিশকর্মীকে বহিষ্কার করেছে দিল্লি পুলিশ।