২০১২-র ডিসেম্বরের এক রাতে দিল্লিতে বাসের ভিতরে পাশবিক যৌন অত্যাচারের শিকার হয়েছিলেন ‘নির্ভয়া’। ধর্ষকদের বর্বর কামনার হাত থেকে বাঁচতে বাধা দিয়েছিলেন তিনি। সেটাই ছিল তাঁর মস্ত ‘অপরাধ’! সেই ‘অপরাধ’-এ তাঁর যোনিপথে লোহার রড ঢুকিয়ে দিয়েছিল ১ কিশোর। ধর্ষণে বাধা দেওয়ার মাশুল এবার দিতে হল আর এক কিশোরীকেও! ধর্ষককে আটকানোর চেষ্টা করায় আগুনে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করা হল তাকে। তবে এলাকাবাসীর তৎপরতায় এ যাত্রায় ধর্ষণ ও মৃত্যুর হাত থেকে বেঁচে গেছে কিশোরীটি। আগুনে শরীরের ৫০ শতাংশ পুড়ে গেলেও চিকিৎসকদের আপ্রাণ চেষ্টা বাঁচিয়ে দিল কিশোরীর জীবন।
মধ্যপ্রদেশের রাজগড় জেলার সুস্তানি গ্রামে নির্যাতিতা কিশোরীর বাড়ি। গত শুক্রবার বাড়িতে একাই ছিল সে। অভিযোগ, ফাঁকা বাড়িতে আচমকা ঢুকে পড়ে এক ব্যক্তি। তারপর জোর করে কিশোরীকে ধর্ষণের চেষ্টা করে সে। অগ্নিদগ্ধ কিশোরীর দাবি, যৌন নির্যাতনের হাত থেকে বাঁচতে সে প্রাণপণে ওই ব্যক্তিকে আটকানোর চেষ্টা করে। বাধা পেয়ে প্রবল আক্রোশে ওই ব্যক্তি কেরোসিন তেল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয় তার গায়ে। এরপরেই জ্বলতে থাকা কিশোরীকে ফেলে চম্পট দেয় ওই ব্যক্তি। অগ্নিদগ্ধ কিশোরীকে উদ্ধার করে স্থানীয়রা ভর্তি করেন হাসপাতালে। পলাতক অভিযুক্তের খোঁজে জোরকদমে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।