চালুনির নিজেরই তো একাধিক ছিদ্র। তাই তার মুখে ছুঁচের সমালোচনা নেহাতই বেমানান। অভিযোগ, পঞ্জাবের মোহালির বাসিন্দা মিনা শর্মা নামে এক মহিলার স্বভাব একেবারেই ‘চালুনি’-র মতো। তাঁর সেই কূট স্বভাবের জন্য বেজায় বিরক্ত ছিলেন প্রতিবেশিরা। কথায় কথায় তাঁর নাকি অন্যের নামে মিথ্যা অভিযোগ আনার বদভ্যাস আছে। গত ২০ বছর ধরে এরকম অনেক অভিযোগ বানিয়ে বানিয়ে পুলিশের কাছে জানাতেন তিনি। প্রতিবেশিদের সেই দাবির সত্যতা এবার স্বীকার করল মোহালির পুলিশ প্রশাসনও।
৫০ বছর বয়সী ওই মহিলার নামে সম্প্রতি বেশ কিছু অভিযোগ দায়ের করেছে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন। যার মধ্যে অনধিকার প্রবেশ, অশ্লীল আচরণ ও ডাকাতিসহ একাধিক অভিযোগ রয়েছে। সেই অভিযোগে ওই মহিলাকে গ্রেফতারও করা হয় একবার। অভিযোগ, জেলে বন্দি থাকাকালীন পাল্টা পুলিশের নামে ৩০টি অভিযোগ আনেন ওই মহিলা। শুধু পুলিশ নয়, পৌরপিতার নামেও অভিযোগ দায়ের করেন ওই মহিলা। লম্বা তালিকায় কত রকমেরই না তাঁর অভিযোগ রয়েছে। কারোর বিরুদ্ধে আছে ধর্ষণের অভিযোগ। কারোর বিরুদ্ধে আছে শ্লীলতাহানির অভিযোগ। জবরদস্তি বলপ্রয়োগ করে আটকে রাখা বা ইচ্ছাকৃত আঘাত করার অভিযোগও রয়েছে সেই তালিকায়। ২০১৬-র জুলাই থেকে ২০১৭-র ডিসেম্বর অবধি নাকি নানাভাবে হয়রানির শিকার হয়েছেন ওই মহিলা! সেই হেনস্থা তাঁকে কখনো করেছেন পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্তারা, কখনো বা করেছেন তাঁরই পরিচিতরা। অন্তত তাঁর অভিযোগের ফিরিস্তি সে কথাই বলছে। বছরের পর বছর ধরে চলা ওই মহিলার ‘ধাপ্পাবাজি’ অবশ্য আর বরদাস্ত করলেন না প্রতিবেশিরা। গত বুধবার তাঁরা সকলে মিলে একটি সাংবাদিক সম্মেলন ডাকেন। সেই সম্মেলনে মহিলার ভাঁওতাবাজির কথা সর্বসমক্ষে একজোটে তুলে ধরেন প্রতিবেশিরা।