একটা মেয়ে চোখ মেরেছে আর তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মেয়েটির ফলোয়ার সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৭ লক্ষ। যে দেশে এমন ঘটনা ঘটে, সেই দেশের যুবসমাজ পকোড়াই বিক্রি করার যোগ্য। পকোড়া বিতর্কের সাথে প্রিয়া প্রকাশের কটাক্ষকে জড়িয়ে এভাবেই বিতর্কে ঘি ঢাললেন মধ্যপ্রদেশের এক বিজেপি নেতা সঞ্জীব মিশ্র। পকোড়া বিক্রি যাঁরা করেন, তাঁরাও চাকুরীজীবী, দেশের যুবসম্প্রদায়ের পকোড়া বিক্রিতে তাই বাধা নেই। সম্প্রতি পকোড়া নিয়ে এইধরনের মন্তব্যের জেরে বিতর্কের মুখে পড়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেই বিতর্ককে ফের উস্কে দিলেন তাঁরই দলের এক নেতা।
প্রিয়া প্রকাশ বারিয়ার। এই নামটাই ভ্যালেন্টাইন সপ্তাহে ঝড় তুলে দেয় নেট দুনিয়ায়। মালয়ালম ছবি ‘ওরু এদার লাভ’-এর অষ্টাদশী নায়িকার জন্য এখন পাগলপারা অবস্থা নব্য প্রজন্মের। প্রিয়ার দুষ্টুমিষ্টি চোখের মোক্ষম ইশারার তির গিয়ে সোজা বিঁধেছে কোটি কোটি টিন এজারের হৃদয়ে। রাতারাতি ‘স্টার’ হয়ে ওঠা প্রিয়ার ‘মারডালা’ কটাক্ষে যদিও বেজায় চটেছেন সঞ্জীব মিশ্র। মধ্যপ্রদেশের বিজেপি নেতা প্রিয়ার চাহনির বিরুদ্ধে নালিশ ঠুকেছেন প্রধানমন্ত্রীর কাছে। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ‘ব্যান’ করে দেওয়া হোক প্রিয়ার ভাইরাল হয়ে যাওয়া ভিডিও। এই দাবিতে নরেন্দ্র মোদীর কাছে চিঠিও লিখেছেন তিনি। যুক্তিও দেখিয়েছেন। এখন পরীক্ষার সময়, তাই ছাত্রছাত্রীদের মনঃসংযোগ যাতে কোনওভাবে বিঘ্নিত না হয় তা নিশ্চিত করতেই প্রিয়া প্রকাশের ভিডিও ইন্টারনেটে ব্যান করার প্রস্তাব দিয়েছেন তিনি। অন্তত এমনই দাবি করছেন সঞ্জীব মিশ্র।
মধ্যপ্রদেশের হোসাঙ্গাবাদ জেলার ক্রীড়া তত্ত্বাবধায়কের রাগ অবশ্য এইটুকু দাবিতেই থেমে থাকেনি। তাঁর আরও দাবি, সামনেই স্কুল ও কলেজ পড়ুয়াদের পরীক্ষা। তারমধ্যে ছবির প্রচারের স্বার্থে ভাইরাল করা হয়েছে অভিনেত্রী প্রিয়া প্রকাশের ভিডিও। সেই ভিডিও টিনএজারদের ওপর খারাপ প্রভাব ফেলছে। তাই অবিলম্বে ‘ওরু এদার লাভ’-এর ভিডিও নিষিদ্ধ করার আবেদন জানিয়েছেন মধ্যপ্রদেশের এই বিজেপি নেতা।