কলা বা ফলমূল আর মুখে রুচছে না। সঙ্গে চাই হাল্কা বা কড়া ‘লিকুইড’। হরিয়ানা ও কর্ণাটক, দুই রাজ্যের দুই বানরের কার্যকলাপে যেন মিলল সেই চাহিদারই ইঙ্গিত। গত বছর হরিয়ানার পানিপথে বাইক থেকে উধাও হয়ে যাচ্ছিল লিটার লিটার পেট্রোল। পেট্রোল চোরকে ধরতে গিয়ে তাজ্জব বনে গিয়েছিলেন বাইক আরোহীরা। চোর কোনও মানুষ নয়। একটি বানর পেট্রোল ট্যাঙ্ক খুলে পাইপকে স্ট্র বানিয়ে সাফ করে দিচ্ছিল পেট্রোল!
বেঙ্গালুরুর কাম্মানহাল্লি এলাকায় এবার খোঁজ মিলল অন্য এক বানরের। তিনি পেট্রোলপ্রেমী নন বটে, তবে তিনি সুরারসিক। ওই এলাকার দিবাকর বারে নিয়মিত যাতায়াত আছে বানরটির। বার কর্মচারিদের দাবি, রোজ বানরটি তাঁদের বারে আসে। টেবিলে ক্রেতাদের ফেলে যাওয়া গ্লাসের অবশিষ্ট মদ পান করে সে। তার সাথে প্লেটে পড়ে থাকা খাবারের অবশিষ্টও পেটে যায় তার। প্রতিদিন একটু একটু করে সুরা চেখে বোধহয় তৃপ্ত হত না বানরটির মন। অভিযোগ, গত সোমবার বারে ঢুকে অনেকটা মদ চোঁ চোঁ করে সাবাড় করে দেয় বানরটি। তার এমন অদ্ভুত কাণ্ড দেখে ততক্ষণে হতবাক সুরাসক্ত অতিথিরা। এরপর সুরার নেশায় মাঝরাত অবধি বারে তাণ্ডব চালায় মত্ত বানরটি। সেই ভয়ে বার ছেড়ে পালিয়েও যান বেশ কয়েকজন।
বারে উপস্থিত কয়েকজন মিলে অন্য খাবারের প্রলোভন দেখান বানরটিকে। সেই প্রলোভনের ফাঁদ পেতে অবশেষে আসে শান্তি। নেশাচ্ছন্ন বানরটিকে ধরে ফেলেন এক অটো চালক। বানরটিকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয় প্রাণি হাসপাতালে। বানরটি স্বেচ্ছায় ওইদিন মদ পান করেছিল, নাকি জোর করে তাকে কেউ মদ খাইয়ে দিয়েছিল, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। পেট্রোলের পর এবার কিনা মদে আসক্তি! বানরের এহেন আজব কীর্তির কথা এখনও ঠিক বিশ্বাস করে উঠতে পারছে না বেঙ্গালুরুর পশুপ্রেমী সংগঠনগুলি।