কে কত বড় গ্যাংস্টার! ফেসবুকে তাই নিয়ে চলছিল জোর তরজা। লড়াইয়ের ময়দানে একদিকে ছিল মহারাষ্ট্রের শিল্পনগরী চাকানেতে মাথা চাড়া দেওয়া মাফিয়া ওমকার জাগাড়ে। আরেকদিকে ছিল অপরাধমূলক কাজের সাথে যুক্ত ১৭ বছরের কিশোর অনিকেত সন্দীপ শিণ্ডে।
সম্প্রতি ফেসবুকে প্রভাব-প্রতিপত্তি নিয়ে তাদের মধ্যে জমে উঠেছিল কাজিয়া। ফেসবুক স্ট্যাটাসে ওমকার দাবি জানায়, সেই ‘চাকানের রাজা’। অনিকেতও পাল্টা দাবি করে, সে হল ‘রাজার বাবা’। অনিকেতের সোশ্যাল মিডিয়ায় দেওয়া সেই ‘স্ট্যাটাস’ ক্রোধের আগুন ধরিয়ে দেয় ওমকার জাগাড়ের মনে। কে চাকানের রাজা আর কে কার বাবা প্রমাণ করতে মরিয়া হয়ে ওঠে সে।
পুলিশের অনুমান, প্রতিহিংসার আগুনে জ্বলতে থাকা মাফিয়া শায়েস্তা করতে চেয়েছিল অপরাধ জগতে ‘শিশু’ অনিকেতকে। তাই প্রতিদ্বন্দ্বী কাঁটাকে উপড়ে ফেলতে ছকও কষে ফেলে সে। ক্ষমতা থাকলে তার সঙ্গে দেখা করার চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেয় ওমকার জাগাড়ে।
ওমকারের চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে বন্ধুকে নিয়ে সংগ্রামদুর্গ এলাকায় তার সাথে সাক্ষাৎ করতে আসে অনিকেত। সেই সুযোগ হাতছাড়া করতে চায়নি নিজেকে ‘চাকানের রাজা’ বলে দাবি করা মাফিয়া। ক্ষমতা বিস্তারের পথ নিরঙ্কুশ করতে দলবলসহ অনিকেতের ওপর চড়াও হয় ওমকার। তাদের সঙ্গে ছিল পিস্তল ও কুঠার।
ওমকার সহ ৮ দুষ্কৃতি চড়াও হয় অনিকেতের ওপর। ভারী পাথর দিয়ে মাথা থেঁতলে ও কুঠারের আঘাতে ছিন্নভিন্ন করে অনিকেতকে নৃশংসভাবে খুন করে তারা। তবে দুষ্কৃতিদের হাত ছাড়িয়ে কোনওক্রমে পালাতে পারে অনিকেতের বন্ধু।
খবর পেয়ে মৃত নাবালক দুষ্কৃতি ও তার আহত বন্ধুকে উদ্ধার করে পুলিশ। অভিযুক্ত দুষ্কৃতিদের মধ্যে ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়। পলাতক মূল চক্রী ওমকার ও তার সঙ্গীদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।