গত শনিবার বিকেলে নাতনিকে নিয়ে বাইরে গিয়েছিলেন ঠাকুমা উষা কাম্বলে। নাগপুরের পবনসূত নগরের বাসিন্দা তিনি। মাঝবয়সী ওই মহিলার ছেলে রবিকান্ত কাম্বলে পেশায় একজন সাংবাদিক। পুত্রবধূ পেশায় পুলিশকর্মী। যমজ ২ নাতনির মধ্যে ১ জনকে নিয়ে গত শনিবার বাজারে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু বিকেল গড়িয়ে রাত হয়ে গেলেও ২ জনে বাড়ি না ফেরায় উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ের মহিলার পুত্রবধূ। সেকথা তিনি জানান তাঁর সাংবাদিক স্বামীকে। মেয়ে ও মায়ের বাড়ি না ফেরার খবর শুনে পুলিশের দ্বারস্থ হন ওই সাংবাদিক। মূলত অপরাধমূলক খবর সংগ্রহ ও লেখালেখির সঙ্গে তিনি যুক্ত। সেই সূত্রে দুষ্কৃতিদের নজরেও ছিলেন তিনি। মা ও দেড় বছরের মেয়ে বাড়ি না ফেরায় স্বভাবতই উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন ওই সাংবাদিক। মেয়ে রাশি ও মায়ের অপহরণের চিন্তা মাথায় আসে তাঁর। পরের দিন সকালেই অবশ্য নিখোঁজ মা ও মেয়ের সন্ধান পান তিনি। কিন্তু জীবিত নয়, তাঁদের মৃত্যুর খবর সাংবাদিক ও তাঁর স্ত্রীকে জানায় পুলিশ।
গত রবিবার বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে উদ্ধার হয় মাঝবয়সী মহিলা ও তাঁর নাতনির দেহ। নাগপুরের সীতাবুলদি এলাকার একটি স্কুলের নালার ধারে ওইদিন একটি বস্তা উদ্ধার করে পুলিশ। বস্তার ভিতর থেকে ১ জন মাঝবয়সী মহিলা ও ১ শিশুর দেহ উদ্ধার করে তারা। তাদের ২ জনেরই গলা কাটা ছিল। খবর দেওয়া হয় সাংবাদিককে। তিনি এসে শনাক্ত করেন মা ও মেয়ের নিথর শরীর। ঘটনার তদন্তে নামে পুলিশ। এলাকাবাসীদের থেকে জানা যায় নিখোঁজ হওয়ার দিন সাংবাদিকের মাকে শেষবারের মত দেখা গিয়েছিল ১ দোকানির বাড়িতে। গণেশ সাহু নামে ওই দোকানি সহ ২ জনকে আটক করে পুলিশ। পুলিশের দাবি, জেরায় অভিযুক্তরা ওই মহিলা ও তাঁর নাতনিকে খুনের কথা স্বীকার করেছে। গণেশ ও তার সঙ্গীর সাথে সাংবাদিকের মায়ের টাকা নিয়ে আগে ঝামেলা হয়েছিল। গত শনিবার গণেশের বাড়িতে টাকা নিয়ে ওই মহিলার সাথে ফের বচসা শুরু হয়। পুলিশের দাবি, ঝামেলার সময় মহিলার মাথা দেওয়ালে সজোরে দুবার ঠুকে দেয় অভিযুক্ত। মাথায় চোট পেয়ে টাল সামলাতে না পেরে সিঁড়ি দিয়ে পড়ে যান ওই মহিলা। এই অবস্থায় ঠাকুমা ও নাতনি চিৎকার করতে থাকলে ২ জনেরই গলা কেটে দেয় অভিযুক্ত। ধৃতের বয়ান অনুসারে খুনের অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মহিলা ও শিশু খুনের ঘটনায় আর কেউ জড়িত আছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।