ভালবেসে বিয়ে করা যাবে না। বাড়ির লোকের পছন্দ করা ছেলেকেই বিয়ে করতে হবে। বাবার তুঘলকি সিদ্ধান্ত মেনে না নেওয়ায় ‘অনার কিলিং’-এর শিকার হলেন উত্তরপ্রদেশের আলিগড়ের এক তরুণী। বাড়ির লোক ভালোবাসার সম্পর্ক মেনে নেবে না। উল্টে অন্য ছেলের সাথে তাঁর বিয়ের কথা বাবা পাকা করে দিয়েছে। কিন্তু ২০ বছরের কবিতার জেদ ছিল, বিয়ে করলে পছন্দের ছেলের সাথেই করবেন। তাই গত ১০ জানুয়ারি বাড়ি ছেড়ে প্রেমিকের সাথে তিনি পালিয়ে যান। ফেব্রুয়ারির ৪ তারিখ প্রেমিকের সাথে বিয়েটাও সেরে ফেলেন তিনি। বিয়ের কিছুদিন পর বাড়িতে ফিরে আসেন ওই তরুণী। সেই ফিরে আসাই হয়তো ছিল তাঁর সবথেকে বড় ভুল ছিল।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, মেয়ের জন্য ভাল বিয়ের সম্বন্ধ ভেস্তে গেছে। সেই রাগে ওই যুবতীকে তাঁর বাবা ঘরে আটকে রাখে। অভিযোগ, স্বামীর কাছে ফিরে যাওয়ার জন্য কাকুতি মিনতি করলেও ওই যুবতীর আবেদনে সাড়া দেয়নি বাড়ির লোক। এই নিয়ে বাবা মহেন্দরের সঙ্গে বচসাও হয় তরুণীর। পুলিশের অনুমান, কথা কাটাকাটি হওয়ার মুহুর্তে ক্ষিপ্ত বাবা মেয়ের মাথা লক্ষ্য করে গুলি চালায়। ঘটনাস্থলেই তরুণীর মৃত্যু হয়। মেয়েকে খুনের পর থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করে কবিতার বাবা। ‘অনার কিলিং’-এ অভিযুক্ত মহেন্দরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।