প্রযুক্তির হাত ধরে উন্নত করে তোলার চেষ্টা হচ্ছে দেশের শিক্ষাব্যবস্থাকে। ছাত্রছাত্রীদের পঠনপাঠনের মান বাড়াতে তাদের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে ল্যাপটপ, ট্যাবলেট। সেইসব আধুনিক যন্ত্র হাতে পেয়ে অনেকসময় পড়ুয়ারা লেখাপড়ার বাইরে গিয়ে ডুব দিচ্ছে ক্ষতিকারক ডিজিটাল দুনিয়ায়। যার কুপ্রভাব পড়ছে তাদের মনোজগতে। তারা ক্রমশ ভুলে যাচ্ছে বিভিন্ন সম্পর্কের মাহাত্ম্য। সেই কারণেই শিক্ষাগুরুকে কুপ্রস্তাব দিতেও অনেকসময় পিছপা হচ্ছে না তারা। ঠিক যেমনটা ঘটেছে গুরুগ্রামের একটি প্রতিষ্ঠিত বেসরকারি ইংরাজি মাধ্যম স্কুলে। যা প্রকাশ্যে আসতে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গুরুগ্রামের স্কুলটিতে।
অভিযোগ, সম্প্রতি স্কুলের সপ্তম শ্রেণির এক পড়ুয়া স্কুলেরই এক শিক্ষিকাকে ধর্ষণের হুমকি দিয়ে মেল পাঠিয়েছে। শিক্ষিকার মেয়ে অভিযুক্ত ছাত্রের সহপাঠী। তাকেও একইভাবে ধর্ষণের হুমকি দিয়েছে ওই ছাত্র। তারপর থেকেই স্কুলে যেতে ভয় পাচ্ছে ওই শিক্ষিকার মেয়ে। তবে অপকর্মে সপ্তম শ্রেণির ছাত্রটি একা নয়, তার দোসর হয়েছে স্কুলের অষ্টম শ্রেণির অপর এক ছাত্রও। অভিযোগ, ওই ছাত্র স্কুলের অপর এক শিক্ষিকাকে তার সাথে ক্যান্ডল লাইট ডিনার ও শারীরিক সম্পর্ক করার প্রস্তাব দিয়েছে। কিশোর ছাত্রদের এমন নজিরবিহীন আচরণে হতভম্ব হয়ে যান দুই শিক্ষিকা। স্কুল কর্তৃপক্ষকে তাঁরা সমস্ত ঘটনার কথা জানান। অভিযুক্ত ছাত্রদের চিহ্নিত করে তাদের অভিভাবকসহ স্কুলে তলব করেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। কড়া ভাষায় শাসনের পাশাপাশি ওই দুই ছাত্রের কাউন্সেলিংয়ের পরামর্শও দিয়েছেন তাঁরা।