বিধানসভায় অশরীরী আত্মা রয়েছে। বসতে গেলেই মনে হচ্ছে আসনে আগে থেকেই কে যেন বসে আছে। বিধানসভায় যত হট্টগোল পাকাচ্ছে প্রেতাত্মারাই। ভূতের অশুভ প্রভাবেই ৬ মাসের ব্যবধানে ২ জন বিধায়ক মারা গেলেন। এবার তাহলে কার পালা? এই আতঙ্কই এখন তাড়া করে বেড়াচ্ছে রাজস্থানের বাঘা বাঘা বিধায়কদের। ভূত তাড়াতে অবিলম্বে বিধানসভায় যজ্ঞের ব্যবস্থা করা হোক। এতে আখেরে ভালই হবে সকলের। এই দাবিতে রাজস্থানের এক বিজেপি বিধায়ক আর্জিও জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী বসুন্ধরা রাজেকে।
রাজস্থানের জয়পুরের জ্যোতিনগরে দেশের অন্যতম আধুনিক বিধানসভাটির অবস্থান। একসময় ওই জমিতে শ্মশান ছিল। তাই অতৃপ্ত আত্মাদের প্রভাব থাকার একটা সম্ভাবনা দেখতে পাচ্ছিলেন ভূত ‘বিশ্বাসী’ বিধায়করা। তার ওপর গত ৬ মাসে মৃত্যু হয়েছে ২ বিধায়কের। ১ জন মণ্ডলগড়ের বিধায়ক কীর্তিকুমার। অপরজন নাথদ্বারার বিধায়ক কল্যাণ সিং চৌহান। তারপর থেকেই বিধানসভায় ভৌতিক ছায়ার প্রকোপে ভয়ে সিঁটিয়ে রয়েছেন বাকি বিধায়করা। তবে সব বিধায়ক নন। কিছু বিধায়ক আবার এসব অবৈজ্ঞানিক তত্ত্বে বিশ্বাসী নন। তাঁরা বিধানসভায় ভিত্তিহীন ভূতের দৌরাত্ম্যের তত্ত্ব মানতে নারাজ। বিধায়কদের একাংশের মনের দুর্বলতাই ভূতের উপস্থিতির ধারণা তৈরি করছে বলে মনে করছেন তাঁরা।