৯ মাস আগে সিআরপিএফ-এর কনস্টেবল পদে চাকরি পেয়েছিলেন কৈলাসচন্দ্র রায়। চেন্নাইয়ে চলছিল তাঁর প্রশিক্ষণ। প্রশিক্ষণ শেষ হতে আর ২ মাস বাকি ছিল। কিন্তু তার আগেই বাড়ি ফিরে এলেন তিনি। জীবিত নয়, জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জের বাড়িতে ফিরল প্রশিক্ষণরত সিআরপিএফ জওয়ানের কফিনবন্দি দেহ। প্রশিক্ষণরত জওয়ানের মৃতদেহ আসতেই সোমবার সকালে শোকে ভেঙে পড়ে গোটা এলাকা।
অভিযোগ, চেন্নাইয়ে স্বাভাবিকভাবে মৃত্যু হয়নি সিআরপিএফ জওয়ানের। পরিবারের দাবি, গত বৃহস্পতিবার চেন্নাই সেনা ক্যাম্প থেকে ফোন আসে রাজগঞ্জের বাড়িতে। প্রথমে জানানো হয়, কৈলাসবাবুর পড়ে গিয়ে মাথায় চোট পাওয়ার কথা। দ্বিতীয়বারের ফোনে ছেলের মৃত্যুর খবর পান তাঁরা। এরপরে আরও একবার ফোন করা হয় মৃত জওয়ানের বাড়িতে। বলা হয়, চোট পেয়ে নয়, নিজের সার্ভিস রিভলভার থেকে গুলি চালিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন ওই জওয়ান। চেন্নাইয়ের সেনাক্যাম্পের কর্তাব্যক্তিদের পরস্পরবিরোধী বক্তব্যই এখন ভাবাচ্ছে মৃতের পরিজনদের। চেন্নাইয়ে প্রশিক্ষণরত জওয়ানকে খুনের তত্ত্ব তাঁরা উড়িয়ে দিচ্ছেন না। ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করা হোক। এই দাবিতে সোচ্চার হয়েছেন মৃত জওয়ানের শোকার্ত পরিবার ও এলাকার বাসিন্দারা।