হায়দরাবাদে একটি বিয়ে বাড়িতে রান্না করতে যাওয়ার কথা ছিল তাঁদের। পেশায় রন্ধনকর্মী ৭ বন্ধু রবিবার গন্তব্যে পৌঁছতে গাজিয়াবাদ যান। সেখানে ট্রেন বাতিল হওয়ার খবর শুনে ঠিক করেন পরদিন যাত্রা করবেন। তাই রাতে ফের বাড়ি ফিরে আসছিলেন তাঁরা। সাদিকপুরার বাসিন্দা ৭ বন্ধু বাড়ির কাছে এসে শর্টকাট নিতে রেললাইন টপকে কলোনিতে পৌঁছে যেতে চেয়েছিলেন। দূর থেকে তখন একটি মালগাড়ি ও আরও একটি ট্রেন ছুটে আসছিল। সেসব যদিও পাত্তা দিতে চাননি তাঁরা। ভেবেছিলেন ট্রেন কাছাকাছি এসে পড়ার আগেই ঠিক পার হয়ে যাবেন লাইন। তাঁদের সেই প্রাণঘাতী আত্মবিশ্বাস নিমেষে ছিন্নভিন্ন করে দেয় দুরন্ত গতির ট্রেন। ট্রেনের চাকায় ঘটনাস্থলেই পিষে যান ৫ যুবক। অন্য ২ জনের মধ্যে ১ জন কিছুক্ষণ পর মারা যান। সপ্তমজন আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি।
মৃত যুবকদের নাম সালিম, অজয়, আরিফ, সমীর, আকাশ ও রাহুল। উত্তরপ্রদেশের হাপুর জেলায় তাঁদের বাড়ি। প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, রাত তখন ৯টা হবে। সাদিকপুরা এলাকার দিল্লি-লখনউ রেললাইনের ওপার হলেই তাঁদের এলাকা। তাড়াতাড়ি বাড়ি পৌঁছতে ৭ যুবক অন্ধকারের মধ্যেই রেললাইন পার হতে যায়। সেইসময় একটি মালগাড়ি তাঁদের ঘাড়ের ওপর এসে পড়ে। মালগাড়ির হাত থেকে বাঁচতে পাশের লাইনে লাফ দিয়ে সরে যান ৭ যুবক। পাশের লাইন দিয়ে সেই সময় যাচ্ছিল একটি লোকাল ট্রেন। সেই ট্রেনের ধাক্কাতেই মৃত্যু হয় ৬ যুবকের।