গত শুক্রবার উত্তরপ্রদেশের মুজফফরপুরে থানায় এসে হাজির হন বছর ২৫-এর এক যুবতী। তিনি পুলিশে অভিযোগ জানান, তাঁর বান্ধবী একটা পাকা চোর। অভিযুক্ত যুবতীও অবশ্য মুখ বন্ধ করে বসে থাকেনি। গত শনিবার বছর ২৮-এর ওই যুবতী পাল্টা অভিযোগকারিণীর পরিবারের বিরুদ্ধেই ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করে থানায়। পরের দিন অর্থাৎ রবিবার ফের থানায় হাজির হন প্রথম অভিযোগ জানাতে আসা যুবতী। তিনি ফের অভিযোগ করেন, তাঁর বোনকে ধর্ষণ করেছে দ্বিতীয় অভিযোগকারিণীর ভাই। চোখের সামনে ভয়ানক অন্যায় হতে দেখে প্রতিবাদ করা তো দূর, ধর্ষণ আটকাতে কারও সাহায্যও চায়নি সে। অভিযোগ, ঠান্ডা মাথায় ভাইয়ের কুকীর্তির পুরোটা ভিডিও রেকর্ডিং করে নেয় ওই যুবতী। মুখ খুললেই কিশোরীর ধর্ষণের ভিডিও প্রকাশ্যে নিয়ে আসার হুমকি দেয় অভিযুক্ত যুবক ও তার দিদি। গত শনিবার অভিযুক্ত যুবক ও তার দিদির বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ জানান ওই যুবতী ও তাঁর বোন। ২ বান্ধবীর ধর্ষণ ও পাল্টা ধর্ষণের অভিযোগের এই টাগ অফ ওয়ারে এখন নাজেহাল অবস্থা পুলিশের।
অভিযোগ ও পাল্টা অভিযোগের এই লড়াইয়ে পুলিশ পাচ্ছে অন্য রহস্যের গন্ধ। অভিযুক্ত যুবকের দিদি ও নিগৃহীতা কিশোরীর দিদি একসময় ২ বান্ধবী ছিলেন। সূত্রের খবর, একই এলাকায় নিজেদের পরিবারের সঙ্গে পাশাপাশি বাস করতেন তাঁরা। কয়েকমাস আগে সেই বন্ধুত্বে কোনও কারণে ভাঙন ধরে। তারপর থেকেই ২ যুবতী পরিবার নিয়ে আলাদাভাবে থাকতে শুরু করেন। ক্রমশ তাঁদের সেই সম্পর্কের আরও অবনতি হয়। তার জেরে ওই ২ যুবতী একে অন্যের দিকে কাদা ছোঁড়াছুঁড়ি করছেন কিনা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। নিগৃহীতা কিশোরীর শারীরিক পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়। অভিযুক্ত যুবকের দিদির রেকর্ড করা ভিডিও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। সমস্ত তথ্যপ্রমাণ যাচাই করে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা।