National

হোলিকায় ঝলসে মৃত মহিলা

হোলির ঠিক আগের দিন মহাসমারোহে পালিত হয় হোলিকা দহন। অশুভ শক্তির বিনাশকারী এই প্রথা সমগ্র দেশ জুড়ে প্রচলিত। উত্তরপ্রদেশে সেই হোলিকার আগুনে মৃত্যু হল ১ মহিলার। অন্যদিকে মধ্যপ্রদেশে হোলিকা দহনের আগুনে ঠেলে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করা হল ১ দলিত যুবককে। প্রথম মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের গুলাউলি গ্রামে। গত বৃহস্পতিবার হোলিকাদহনের জ্বালানি এক জায়গায় জড়ো করে রেখেছিলেন গ্রামের বাসিন্দারা। রাতে সেই কাঠকুটোয় আগুন জ্বালিয়ে উৎসবে মেতে ওঠেন গ্রামবাসী। হোলিকা দহনের পর যে যার বাড়ি চলে যান। গত শনিবার পোড়া খড়কুটোর জায়গা পরিস্কার করতে যান স্থানীয় কয়েকজন। পড়ে থাকা ছাই সরাতে গিয়ে তাঁরা চমকে ওঠেন। ছাইয়ের স্তূপের ভিতর পড়ে আছে এক মহিলার দগ্ধ দেহ! সাথে সাথে তাঁরা খবর দেন গ্রামের বাকি লোকজনকে। হোলিকা দহনের সময় এক মহিলার জীবন্ত পুড়ে মরার ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় গ্রামবাসীদের মধ্যে। খবর পেয়ে ছাইয়ের গাদা থেকে মহিলার পোড়া দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তাদের অনুমান, হোলিকা দহনের আগে কোনও এক ফাঁকে কাঠকুটোর মধ্যে ঢুকে গিয়েছিলেন ওই মহিলা। সীমা দেবী নামের ওই মহিলা সম্ভবত মানসিক বিকারগ্রস্ত ছিলেন। তাই আগুন লাগার পরেও জ্বলন্ত কাঠকুটোর ভিতর থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করেননি তিনি। যার ফলে আগুনের লেলিহান শিখাতেই দগ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় তাঁর।

হোলিকা দহনের আগুনে পুড়ে আরও এক ব্যক্তি বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আহত যুবক বলরাম আহিওয়ারের বাড়ি মধ্যপ্রদেশের ফুতেরা গ্রামে। গত বৃহস্পতিবার রাতে তিনি তাঁর বন্ধুদের সঙ্গে হোলিকা দহনের উৎসবে মেতে উঠেছিলেন। অভিযোগ, ওই যুবক দলিত হওয়ায় তাঁকে ধাক্কা মেরে আগুনের ভিতরে ঠেলে ফেলে দেয় এক দম্পতি। অগ্নিদগ্ধ যুবকের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ অভিযুক্তদের ১ জনকে গ্রেফতার করেছে। যদিও আহত যুবকের দাবি অস্বীকার করেছে অভিযুক্ত রাজে রাজপুত নামে ওই ব্যক্তি। তার পাল্টা অভিযোগ, ওই যুবক বন্ধুদের সঙ্গে মিলে তার বাড়িতে আগুন লাগানোর চেষ্টা করেছিল। এই নিয়ে ধ্বস্তাধস্তির সময় ওই যুবক আগুনের মধ্যে পড়ে যায়। ঘটনার তদন্তে নেমে সমস্ত অভিযোগ খতিয়ে দেখছে পুলিশ।



Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button