বর আসবে কিছুক্ষণের মধ্যেই। সেই আশাতেই সেজেগুজে একেবারে তৈরি হয়েছিলেন কনে। ওড়িশার বোধমুন্ডার শঙ্কর পাণ্ডা নামে এক যুবকের সাথে বিয়ে হওয়ার কথা ছিল তাঁর। রবিবার রৌরকেল্লার স্থানীয় একটি মন্দিরে বসেছিল বিয়ের আসর। ঠিক সময়ে বরযাত্রী নিয়ে ছাদনাতলায় হাজিরও হয়ে যান পাত্রপক্ষ। কিন্তু সেই পাত্রকে বিয়ে করতে বেঁকে বসেন খোদ পাত্রী। অভিযোগ, বিয়ের দিন আকণ্ঠ মদ্যপান করে বিয়ের মণ্ডপে হাজির হন বর। মদের নেশায় চুর হয়ে বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আসেন পাত্রের বাড়ির লোক ও বন্ধুরাও। মত্ত অবস্থায় তাঁরা কনের বাড়ির লোকজনের সঙ্গে অভব্য আচরণও করেন। পাত্রীপক্ষের দাবি, বিয়ের আয়োজন ও খাওয়াদাওয়া নিয়ে তাঁদের সাথে অত্যন্ত দুর্ব্যবহার করেন মদ্যপ বরপক্ষ। সব জানার পর লগ্নভ্রষ্ট হওয়ার ভয় উড়িয়ে দিয়ে ভরা বিয়ের আসরে বিয়ে ভেঙে দেন পাত্রী নিজেই। সেখানেই শেষ নয়। হবু বর মদ খেয়ে তাঁর পরিবারের লোকের সাথে অসভ্য আচরণ করেছেন। এমন অন্যায় মেনে নিতে পারেননি পাত্রী। তাই সোজা ওড়িশার ট্যাংরাপল্লী থানায় গিয়ে হবু স্বামী ও তাঁর বাড়ির লোকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন পাত্রী।
ঘটনার তদন্তে নেমে পাত্র ও তাঁর দাদাকে আটক করে পুলিশ। যদিও হবু স্ত্রী ও তাঁর পরিবারের দাবি অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত পাত্র। তাঁর পাল্টা দাবি, বন্ধুরা ডাবের জলের সাথে অ্যালকোহল মিশিয়ে দিয়েছিলেন। তার জেরেই বিয়ের দিন নিজের ওপর তিনি নিয়ন্ত্রণ হারান। হবু স্ত্রীর পরিবারের সাথে অজান্তে খারাপ ব্যবহারের জন্যও তিনি অনুতপ্ত। তাই সব তিক্ততা ভুলে ওই পাত্রীকেই বিয়ে করতে চেয়ে পুলিশের কাছে আবেদন জানিয়েছেন শঙ্কর পাণ্ডা।