যুবককে গুলি করে তাঁর প্রেমিকাকে রাস্তার ধারেই ধর্ষণ করে তাঁদের মোবাইল, গয়না, টাকাকড়ি, বাইক নিয়ে চম্পট দিল এক দুষ্কৃতি। ফাঁকা জায়গা হওয়ায় ওই এলাকায় কোনও সিসিটিভি ছিলনা। তবে ধর্ষণের শিকার ওই তরুণীর বয়ান শুনে দুষ্কৃতির খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানাচ্ছে, এক বছর হল ওই যুবক ও তরুণীর মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। গত সোমবার রাতের দিকে তাঁদের ইচ্ছে হয় বাইকে করে একটু দূর পর্যন্ত ঘুরে আসেন। একটি চিনা খাবারের দোকানে রাঁধুনি হিসাবে কর্মরত ওই যুবক মহারাষ্ট্রের থানে জেলার অম্বরনাথ থেকে তাঁর বান্ধবীকে বাইকে তুলে নেন। তারপর তাঁরা পাড়ি দেন ফাঁকা অম্বরনাথ-তিতওয়ালা রোড ধরে গন্তব্যের দিকে। মাঝপথে একটি শুনশান জায়গায় একটি ঢিবির পাশে বাইক দাঁড় করান ওই যুবক। তারপর প্রস্রাব করতে ঝোপের মধ্যে যান। বাইকের পাশে একাই দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছিলেন ওই তরুণী। তরুণী পুলিশের কাছে দাবি করেছেন, তখনই ওই শুনশান জায়গায় কোথা থেকে হাজির হয় এক ব্যক্তি। এসেই তার হাত ধরে টানতে শুরু করে। তরুণীর গলা পেয়ে ছুটে আসেন তাঁর প্রেমিক। তরুণী হাত ছেড়ে দিতে বলেন ওই দুষ্কৃতিকে। অভিযোগ সেই সময়ে আচমকাই ওই যুবকে লক্ষ্য করে একাধিকবার গুলি চালায় ওই ব্যক্তি। রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তায় লুটিয়ে পড়েন ওই যুবক। এরপর শুনশান রাস্তার ধারে তরুণীকে ধর্ষণ করে ওই দুষ্কৃতি। সব শেষে দুজনকে রাস্তায় ফেলে রেখে বাইক, মোবাইল, টাকাকড়ি, গায়ের গয়না সব লুঠ করে চম্পট দেয় সে।
রাস্তা দিয়ে যাওয়া এক ব্যক্তির সাহায্যে কোনওক্রমে ওই তরুণী তিতওয়ালা পুলিশ স্টেশনে এসে পৌঁছন। পুলিশ তাঁর সঙ্গে কথা বলে দ্রুত ঘটনাস্থলে ফিরে যুবককে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। হাই রোডের ওপর শুনশান জায়গাটি সিসিটিভি নজরদারির মধ্যে ছিলনা। ফলে স্থানীয়দের জিজ্ঞাসাবাদ ও তরুণীর বয়ানের ভিত্তিতে ওই দুষ্কৃতির খোঁজ শুরু করেছে পুলিশ।