বুধবার দুপুরে নিজের দফতরে ছুরিকাহত হলেন কর্ণাটকের লোকায়ুক্ত পি বিশ্বনাথ শেট্টি। ঘড়ির কাঁটায় তখন পৌনে ২টো। বেঙ্গালুরুর স্টেট সেক্রেটারিয়েট ভবনে নিজের কক্ষে কাজ করছিলেন প্রাক্তন বিচারপতি। একটি মামলার শুনানি চলছিল সেইসময়। কক্ষে উপস্থিত ছিলেন বেশ কয়েকজন বহিরাগত। অভিযোগ, তাদের মধ্যে একজন আচমকা নিরাপত্তার বেড়াজাল টপকে চড়াও হয় পি বিশ্বনাথ শেট্টির ওপর। তাঁকে ছুরি দিয়ে পরপর ৩ বার আঘাত করে ওই দুষ্কৃতি। লোকায়ুক্তের আর্তনাদ শুনে ছুটে আসেন তাঁর সহকারী। আশঙ্কাজনক অবস্থায় এরপর লোকায়ুক্তকে নিয়ে যাওয়া হয় মালিয়া হাসপাতালে। সেখানে আইসিইউ-তে ভর্তি করা হয় তাঁকে। আপাতত তিনি বিপদমুক্ত বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা।
পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, খুনের জন্যই লোকায়ুক্তের ওপর হামলা চালিয়েছিল আততায়ী। হামলাকারীর খোঁজে নেমে তেজস শর্মা নামে এক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। টেন্ডার নিয়ে বিবাদের জেরে রাগের বশে লোকায়ুক্তের ওপর প্রাণঘাতী হামলা চালিয়েছিল সে। জেরায় অভিযুক্ত এমনটাই জানিয়েছে বলে দাবি পুলিশের। প্রাক্তন বিচারপতির ওপর হামলার খবর শুনে পরে হাসপাতালে তাঁকে দেখতে যান রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পি সিদ্দারামাইয়া। লোকায়ুক্তকে খুনের চেষ্টার ঘটনায় কংগ্রেসের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনন্ত কুমার। কর্ণাটকের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও আইনশৃঙ্খলার অবনতি নিয়ে তিনি তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন।