গত শনিবার থেকে দেশের নানা প্রান্তে শুরু হয়েছে এক নতুন ‘ট্রেন্ড’। স্বনামধন্য ব্যক্তিত্বদের মূর্তি ভাঙার ট্রেন্ড। শুরুটা ত্রিপুরায় লেনিনের মূর্তি ভাঙা দিয়ে। একে একে সেই তালিকা দীর্ঘ হয়েছে। বদলার নয়া তত্ত্বে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে হামলাকারীদের শিকার হতে হচ্ছে দেশের ইতিহাসের পাতায় জায়গা করে নেওয়া মানুষজনের মূর্তিকে। কলকাতায় শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের, মেরঠে আম্বেদকরের। দক্ষিণ ভারতেও ছড়িয়েছে এই ‘ভাইরাস’। তামিলনাড়ুতে পেরিয়ার বা কেরালায় আম্বেদকরের মূর্তি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এবার হামলাকারীদের কোপের খাঁড়া নেমে এল জাতির জনকের ওপর। যিনি একসময়ে বলেছিলে চোখের বদলে চোখের তত্ত্ব একদিন গোটা পৃথিবীটাকেই অন্ধ করে দেবে। ব্যক্তিগত বা রাজনীতির ময়দানে এমন সহিংস নীতির ঘোর বিরোধী ছিলেন গান্ধীজি। বৃহস্পতিবার সকালে সেই গান্ধীজির মূর্তিই হিংসার শিকার হল।
দিনের আলোয় কেরালার কান্নুরের গান্ধী মূর্তিতে ব্যাপক ভাঙচুর চালায় একদল অজ্ঞাতনামা হামলাকারী। তারা মহাত্মার চশমা ভেঙে ফেলে। উপড়ে নেওয়া হয় গলার মালা। পাথর ছুঁড়ে ক্ষতবিক্ষত করে দেওয়া হয় গান্ধীজির মূর্তিকে। সাতসকালে মহাত্মার মূর্তিতে যে এভাবে হামলা চালানো হবে তা স্বপ্নেও ভাবতে পারেনি স্থানীয় প্রশাসন। ঘটনার পর হামলাকারীদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করে কেরল পুলিশ। গ্রেফতার করা হয় ১ জনকে। অভিযুক্ত মানসিক বিকারগ্রস্ত বলে দাবি পুলিশের।
তবে শুধু গান্ধীজি একা নন। এদিন চেন্নাইয়ের তিরুভোত্তিয়ুরে শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের মত মুখে কালি লেপা হয় বি আর আম্বেদকরের মূর্তিতে। তবে কালো নয়, বৃহস্পতিবার লাল রঙের কালিতে লেপে দেওয়া হয় আম্বেদকরের মুখ। ভারতীয় সংবিধান প্রণেতার মূর্তিতে কালি লেপার খবরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের খোঁজ শুরু করেছে পুলিশ।