শ্রাবণী কালে ও ভার্গভী প্যাটেল। দুজনেই মেধাবী ছাত্রী। দারুণ বন্ধু। দশম শ্রেণির সিবিএসই পরীক্ষা দিচ্ছে দুজনেই। এক অজানা কারণে দুজনেই আচমকা আত্মহত্যার পথ বেছে নিল। পড়ার চাপ? ভাল রেজাল্ট করার চাপ? উত্তর খুঁজছে পুলিশ।
হায়দরাবাদের এলবি নগর পুলিশ জানিয়েছে, শ্রাবণী কালের বাবা একজন বিজ্ঞানী। ভার্গভী প্যাটেলের বাবা ব্যবসায়ী। হায়দরাবাদে এলবি নগরে ভার্গভীর বাড়িতে একসঙ্গে দু’জনে পড়াশোনা করতে সেখানে গত বৃহস্পতিবার সন্ধেবেলা হাজির হয় শ্রাবণী। সন্ধেবেলা যখন এই দুই বছর ১৫-র ছাত্রী পড়াশোনা করছিল তখন বাড়িতে কেউ ছিল না। আচমকাই তারা ৯ তলার ফ্ল্যাট থেকে পরপর ঝাঁপ দেয়। অত ওপর থেকে নিচে পড়ার পর ঘটনাস্থলেই তাদের মৃত্যু হয়। পুলিশ একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার করেছে। শ্রাবণীর লেখা। মা, বাবাকে ‘সরি’ বলেছে সে, দাদাকে ‘মিস’ করবে বলে জানিয়েছে। কিন্তু নোটে কোথাও আত্মহত্যার কারণের কোনও উল্লেখ নেই।
অন্যদিকে ভার্গভীর কোনও সুইসাইড নোটই পাওয়া যায়নি। ফলে তাদের মৃত্যু নিয়ে রহস্য ঘনীভূত হয়েছে। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান ভাল রেজাল্ট করার জন্য প্রবল চাপ সহ্য করতে না পেরেই দুই বন্ধু শেষ পর্যন্ত আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে। তবে এটা অনুমান মাত্র। দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।