ভারত সফরে গত শুক্রবারই দিল্লিতে পা দিয়েছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাক্রোঁ। শনিবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর একটি দ্বিপাক্ষিক চুক্তি সাক্ষরিত হয়েছে। যেখানে দুই দেশই একে অপরকে রণতরী দিয়ে সাহায্য করবে। ভারত মহাসাগরে দুজনেই তাদের নৌবহর বানাবে। আর তাতে একে অপরকে সাহায্য করবে ভারত ও ফ্রান্স। এরফলে দুই দেশের মধ্যে ভারত মহাসাগরে পারস্পরিক সামরিক সুরক্ষা আদান প্রদানও শক্তিশালী হবে। ভারত ও ফ্রান্সের মত দুই সামরিক শক্তিধর দেশ এভাবে ভারত মহাসাগরে কাছাকাছি আসায় ইতিমধ্যেই চিনের কপালে ভাঁজ পড়েছে।
দক্ষিণ চিন সাগরে নিজেদের আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টায় অনেকটাই সফল চিন। যা বিশ্বের তাবড় শক্তিধর দেশগুলিকে চিন্তায় রেখেছে। এমনকি দক্ষিণ চিন সাগরে চিনের আধিপত্য কায়েমের চেষ্টাকে সামনে রেখে আমেরিকার সঙ্গে চিনের সম্পর্ক তলানিতে ঠেকেছে। চিনের এই ‘দাদাগিরি’ ভারতও ভাল চোখে নেয়নি। এই অবস্থায় চিন এবার দক্ষিণ চিন সাগরের পর ভারত মহাসাগরেও নিজেরে আধিপত্য কায়েমের চেষ্টায় মশগুল। এজন্য হালে আফ্রিকার ডিজিবোতিতে তাদের একটি নৌবহর তৈরি করেছে চিন। যা নিয়ে ভারত সহ বিশ্বের অনেক শক্তিধর দেশই উদ্বিগ্ন। এই অবস্থায় ভারত সফরে আসা ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর এই সুরক্ষা কর্মসূচির সাক্ষর অবশ্যই তাৎপর্যপূর্ণ।
(প্রধানমন্ত্রীর ছবি – সৌজন্যে – ট্যুইটার – নরেন্দ্র মোদী)