অবশেষে কৃষকদের মিলিত দাবির সামনে নতি স্বীকার করতেই হল দেবেন্দ্র ফড়নবিশ সরকারকে। কৃষকদের অধিকাংশ দাবিই মেনে নিল মহারাষ্ট্র সরকার। সোমবার বিকেলে এক বৈঠকে কৃষকদের দাবি মেনে নেওয়ার কথা তাঁদের জানানো হয়। দাবি পূরণের পরই অল ইন্ডিয়া কিষান সভা তাঁদের আন্দোলন প্রত্যাহার করে নেয়। গেরুয়া রাজ্যে এই দাবিপূরণের মধ্যে দিয়ে বড় জয় পেল বামেরা। বাম রাজনীতির মূলগত আন্দোলন পদ্ধতির রাস্তায় হেঁটেই এল তাদের কাঙ্ক্ষিত জয়।
লালঝাণ্ডা হাতে গত ৫ দিন ধরে লং মার্চে অংশ নেন নাসিক জেলার বিভিন্ন গ্রামের কৃষক। যাঁদের মধ্যে অনেকেই ছিলেন আদিবাসী কৃষক। আদিবাসীদের অরণ্যের জমির অধিকার থেকে কৃষি ঋণ মকুব বা ফসলের ন্যায্যমূল্য বৃদ্ধি সহ বেশ কিছু দাবিতে হাজার হাজার কৃষকের সারিবদ্ধ হেঁটে চলা দেশবাসীর নজর কেড়েছিল আগেই। যতই তাঁরা মুম্বইয়ের কাছে পৌঁছেছেন ততই সংখ্যা বেড়েছে। দীর্ঘ হয়েছে মিছিলের লেজ। অবশেষে সোমবার এল সেই চূড়ান্ত দিন। কৃষকদের মুম্বইতে ঢুকে ‘বিধানসভা ঘেরাও’ কর্মসূচি পালন। এদিন সকাল থেকেই বহু মুম্বইবাসী ৫ দিন ধরে হেঁটে ১৭০ কিলোমিটার রাস্তা পার করে মুম্বই পৌঁছনো মানুষগুলোর পাশে দাঁড়ান। তাঁদের জল, খাবার দিয়ে সাহায্য করেন। পাশে থাকার বার্তা দেন। পাশে দাঁড়ায় শিবসেনা থেকে মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনা, এনসিপির মত মহারাষ্ট্রের আঞ্চলিক দলগুলিও। নৈতিক সমর্থন দেয় কংগ্রেসও।
এদিন প্রথমে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন অল ইন্ডিয়া কিষান সভার প্রতিনিধিরা। তারপর বিকেলে বৈঠক হয় রাজ্য সরকারের সঙ্গে। সেখানেই সরকারের তরফে কৃষকদের অধিকাংশ দাবি মেনে নেওয়ার অঙ্গীকার করার পর আন্দোলন প্রত্যাহার করার কথা ঘোষণা করা হয়। অধীর অপেক্ষায় রাস্তা জুড়ে বসে থাকা হাজার হাজার কৃষক সেই খবরে আনন্দে মেতে ওঠেন। ৫ দিনের কঠিন লড়াইয়ের সুফল ঘরে তুলে কার্যতই খুশি তাঁরা।