স্কুলের এক শিক্ষিকার প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছিল উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদ এলাকার এক কিশোরী। ছাত্রীর ভুল ভাঙিয়ে তাকে সঠিক পথে নিয়ে আসার দায়িত্ব ছিল শিক্ষিকার। অভিযোগ, তা না করে উল্টে ছাত্রীর সঙ্গে সমকামী সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন ওই শিক্ষিকাও। তাঁদের সেই সম্পর্কের কথা জানতে পারেন কিশোরীর মা-বাবা। সেই নিয়ে মেয়েকে বকাবকিও করেন তাঁরা। মা-বাবার নিষেধ সত্ত্বেও শিক্ষিকার সঙ্গে সম্পর্ক শেষ করতে নারাজ ছিল কিশোরী। তাই অভিভাবকদের কড়া শাসনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে ২ মাস আগে মনের মানুষ ওই শিক্ষিকার সঙ্গে সে পালিয়ে যায়। পুলিশের সাহায্য নিয়ে সেবার বড় মেয়েকে খুঁজে পান তার অভিভাবকরা। বিবাহবিচ্ছিন্না শিক্ষিকার খপ্পর থেকে বাঁচাতে মাঝপথে কিশোরীকে স্কুল ছাড়িয়ে দেন তার অভিভাবকরা।
প্রেমের পথে বারবার মায়ের বাধা হয়ে দাঁড়ানো ভালো চোখে নেয়নি বছর ১৮-র মেয়েটি। মনে মনে ক্ষোভে ফুঁসছিল সে। অভিযোগ, সেই রাগে গত ৯ মার্চ মায়ের ওপর চড়াও হয় মেয়েটি। রড ও লাঠি দিয়ে মাকে মারধর করে এলাকা ছেড়ে চম্পট দেয় সে। বাড়ি ফিরে মাকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখে পুলিশে খবর দেয় মহিলার আরেক মেয়ে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় মহিলাকে দিল্লির হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে গত রবিবার তাঁর মৃত্যু হয়। এরপরেই গাজিয়াবাদের কবিনগর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন মৃতার স্বামী। তাঁর দাবি, স্কুলের ওই শিক্ষিকার প্ররোচনাতেই স্ত্রীকে খুন করেছে তাঁর বড় মেয়ে। মাকে খুন করে সম্ভবত সে ওই শিক্ষিকার কাছে গিয়ে উঠেছে বলে ধারণা মেয়েটির বাবার। ঘটনার তদন্তে নেমে অভিযুক্ত কিশোরী ও শিক্ষিকার খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।