বিহারের ১টি লোকসভা ও ২টি বিধানসভা আসনে উপনির্বাচনের ফলের যা ট্রেন্ড তাতে যে আসন যে দলের দখলে ছিল, তা তারই দখলে থাকছে। অন্তত এখনও পর্যন্ত ট্রেন্ড তাই। বিহারের আরারিয়া লোকসভা আসনে আরজেডির সরফরাজ আলম ভাল ব্যবধানে এগিয়ে আছেন। অন্যদিকে জেহানাবাদ বিধানসভা কেন্দ্র ছিল আরজেডির দখলে। সেখান এদিনও লণ্ঠনেরই আধিপত্য কায়েম রয়েছে। জেহানাবাদে আরজেডি-র কুমার কৃষ্ণ মোহন যাদব অনেক ভোটে এগিয়ে গেছেন। বিহারের অন্য বিধানসভা আসন ভাবুয়া ছিল বিজেপির দখলে। এবারও তাই থেকে যাচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে। এখানে বিজেপির রিঙ্কি রানি পাণ্ডে ভাল ব্যবধানে এগিয়ে।
বিহার রাজনীতিতে কিন্তু এর মাঝে অনেক ঝড় বয়ে গেছে। মহাজোট ভেঙে নীতীশ কুমার ফের নতুন করে বিজেপির সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে সরকার গড়েছেন। অন্যদিকে আরজেডির সঙ্গে বিচ্ছেদের পর পশুখাদ্য কেলেঙ্কারি মামলায় এখন গারদের পিছনে আরজেডি সুপ্রিমো তথা রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালুপ্রসাদ যাদব। এই অবস্থায় অনেকেই ভেবেছিলেন ব্যাকফুটে থাকা আরজেডির কাছ থেকে আরারিয়া ও জেহানাবাদ আসন উপনির্বাচনে হাতছাড়া হতে চলেছে। নীতীশের জেডিইউ ও বিজেপির জোট সরকার ক্ষমতায়। তারাই এই দুটি সিটে নিজেদের জোট প্রার্থীকে জিতিয়ে আনবেন। কিন্তু তা বোধহয় হলনা।