বিহারের ১টি লোকসভা ও ২টি বিধানসভা আসনে উপনির্বাচনে লোকসভা আসন আরারিয়া ধরে রাখল আরজেডি। বিহারের আরারিয়া লোকসভা আসনে আরজেডির সরফরাজ আলম ৬১ হাজার ৯৮৮ ভোটে জয়লাভ করেন। আসনটি আরজেডির কাছ থেকে ছিনিয়ে নিতে নীতীশ বিজেপি জোটও কোনও ম্যাজিক দেখাতে পারল না। বরং জেলবন্দি লালুপ্রসাদ যাদবের প্রাধান্যই বজায় রইল। অন্যদিকে জেহানাবাদ বিধানসভা কেন্দ্র ছিল আরজেডির দখলে। সেখানে এদিনও লণ্ঠনেরই আধিপত্য কায়েম রইল। জেহানাবাদে আরজেডি-র কুমার কৃষ্ণ মোহন যাদব এদিন তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বীকে ৩৫ হাজার ৩৬ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করেন। বিহারের অন্য বিধানসভা আসন ভাবুয়া ছিল বিজেপির দখলে। এবারও তাই থেকে গেল। এখানে বিজেপির রিঙ্কি রানি পাণ্ডে ১৫ হাজার ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করলেন নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কংগ্রেস প্রার্থী শম্ভু সিং প্যাটেলকে।
বিহার রাজনীতিতে কিন্তু এর মাঝে অনেক ঝড় বয়ে গেছে। মহাজোট ভেঙে নীতীশ কুমার ফের নতুন করে বিজেপির সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে সরকার গড়েছেন। অন্যদিকে আরজেডির সঙ্গে বিচ্ছেদের পর পশুখাদ্য কেলেঙ্কারি মামলায় এখন গারদের পিছনে আরজেডি সুপ্রিমো তথা রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালুপ্রসাদ যাদব। এই অবস্থায় অনেকেই ভেবেছিলেন ব্যাকফুটে থাকা আরজেডির কাছ থেকে আরারিয়া ও জেহানাবাদ আসন উপনির্বাচনে হাতছাড়া হতে চলেছে। নীতীশের জেডিইউ ও বিজেপির জোট সরকার ক্ষমতায়। তারাই এই দুটি সিটে নিজেদের জোট প্রার্থীকে জিতিয়ে আনবেন। কিন্তু তা হলনা। বরং আরজেডি নিজেদের আসন ধরে রেখে বুঝিয়ে দিল যতই নীতীশ বিজেপির সঙ্গে জোট করুননা কেন, বিহারে সূচ্যগ্র মেদিনীও দখল করতে প্রবল লড়াই দিতে হবে তাদের।