
গত ৮ মার্চ হরিয়ানার সোনিপত জেলার গোহানা শহরের একটি স্কুলে চলছিল দশম শ্রেণির শারীরবিদ্যার পরীক্ষা। সূত্রের খবর, পরীক্ষায় মেয়ে হয়তো পাশ করতে পারবে না। এই আশঙ্কায় স্কুলের অধ্যক্ষের দ্বারস্থ হন দশম শ্রেণির এক ছাত্রীর বাবা। অধ্যক্ষকে তিনি ১০ হাজার টাকা দেন বলে অভিযোগ। বদলে অধ্যক্ষ মেয়েকে তার আত্মীয়ের বাড়িতে রেখে যাওয়ার পরামর্শ দেয়। জানায় ওই মেয়েটির বদলে অন্য এক ছাত্রী পরীক্ষায় বসবে। পরীক্ষা শেষ হলে মেয়েকে এসে নিয়ে যাওয়ার কথা জানায় অধ্যক্ষ। অভিযোগ, অভিভাবককে এমনই ‘গর্হিত’ আশ্বাস দিয়েছিল খোদ অধ্যক্ষ। আশ্বাস পেয়ে নিশ্চিন্ত হয়েছিলেন ছাত্রীর বাবাও।
তাঁর দাবি, অধ্যক্ষের হাতে ১০ হাজার টাকা তুলে দিয়ে অধ্যক্ষের এক আত্মীয়ের বাড়িতে মেয়েকে রেখে বাড়ি ফিরে যান তিনি। সাহায্যের বদলে প্রিন্সিপাল যে আসলে অন্য কুমতলব এঁটেছে তা তিনি বুঝতে পারেননি। অভিযোগ, দশম শ্রেণির ওই ছাত্রীর জায়গায় সত্যি সত্যি অন্য এক ছাত্রী শারীরবিদ্যা পরীক্ষা দিয়েছিল। সেইসময় আত্মীয়ের বাড়িতে ২ জন মহিলার সাহায্য নিয়ে কিশোরীকে ধর্ষণ করে মাঝবয়সী অধ্যক্ষ। বাড়ি ফিরে বাবাকে অধ্যক্ষের হাতে যৌন অত্যাচারের কথা জানায় নিগৃহীতা ছাত্রী। মেয়ের কথা শুনে ক্ষোভে ফেটে পড়েন তার বাবা। থানায় গিয়ে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। ঘটনার তদন্তে নেমে অভিযুক্ত অধ্যক্ষ ও ২ মহিলাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে।