শ্যালিকা রোজ পুরুষবন্ধুর সঙ্গে ফোনে কথা বলত। এই নিয়ে ঘোর আপত্তি ছিল জামাইবাবু রাজ করণের। উত্তরপশ্চিম দিল্লির বাবরপুর এলাকায় তার শ্বশুরবাড়ি। শ্যালিকাকে পুরুষবন্ধুর সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে সে মানাও করেছিল। জামাইবাবুর আপত্তি যদিও কানে তোলেননি তার শ্যালিকা। অভিযোগ, বুধবার রাতে নিজের ঘরে বন্ধুর সঙ্গে কথা বলছিলেন ওই তরুণী। ঘরে ঢুকে শ্যালিকাকে পুরুষবন্ধুর সঙ্গে কথা বলতে দেখে রেগে যায় তাঁর জামাইবাবু। শ্যালিকাকে ধমক দিয়ে সব কথা তাঁর দিদিকে জানিয়ে দেওয়ার হুমকি দেয় বছর ৩১-এর ওই ব্যক্তি। ব্যক্তিগত বিষয়ে নাক গলানোয় পাল্টা জামাইবাবুর সঙ্গে তর্ক শুরু করে শ্যালিকাও।
পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, শ্যালিকার অবাধ্যতায় রাগ চড়ে যায় তাঁর জামাইবাবুর মাথায়। তরুণীকে উচিত শাস্তি দিতে প্রথমে তাঁর ওপর ছুরি নিয়ে চড়াও হয় সে। শ্যালিকাকে ছুরি দিয়ে কোপানোর পর তাঁর গলায় লোহার শিকল পেঁচিয়ে ধরে ওই রাজ করণ। ঘটনাস্থলেই শ্বাসরোধ হয়ে মৃত্যু হয় তরুণীর। মৃতার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার সকালে দিল্লির করোলবাগ এলাকা থেকে রাজ করণকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
জেরায় ধৃত জানিয়েছে, খুনের পর শ্যালিকার রক্তমাখা দেহের পাশে প্রায় ৪ ঘণ্টা শুয়েছিল সে। তারপর শ্যালিকার ফোন আর স্কুটি নিয়ে বৃহস্পতিবার সকাল ৬টায় শ্বশুরবাড়ি থেকে সে বেরিয়ে পড়ে। পুলিশের দাবি, ধৃত ব্যক্তি মানসিক ভারসাম্যহীন। স্ত্রীর সঙ্গে ঝামেলার কারণে শ্বশুরমশাইকে খুনের অভিযোগে বেশ কিছুদিন হাজতবাস হয়েছিল তার। সম্প্রতি জেল থেকে ছাড়া পায় সে। তারপরেই শ্যালিকার ওপর শুরু হয় তার অহেতুক নজরদারি। যার জেরে তরুণীর এমন মর্মান্তিক পরিণতি বলে মনে করছে পুলিশ।