জটিলতা চলছিল বেশ কিছুদিন ধরেই। শুক্রবার হল যবনিকা পতন। কেন্দ্রে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট ছেড়ে বেরিয়ে গেল অন্ধ্রপ্রদেশের তেলেগু দেশম পার্টি। অন্ধ্রপ্রদেশের জন্য ‘স্পেশাল স্ট্যাটাস’ চেয়ে আসছিলেন চন্দ্রবাবু নাইডু। কিন্তু শরিক টিডিপির সেই দাবিতে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছিলনা কেন্দ্র। ফলে সম্পর্কের শীতলতা বৃদ্ধি পাচ্ছিল। গত সপ্তাহে তাদের ২ কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে তুলে নেয় টিডিপি। তখনই শরিক অবস্থান না ছাড়লেও অশনি সংকেত পরিস্কার হয়ে গিয়েছিল সকলের কাছে। হয়ত মন্ত্রী তুলে নিয়ে কেন্দ্রকে শেষবারের মত ভেবে দেখার সুযোগ দিয়েছিলেন চন্দ্রবাবু। কিন্তু তারপরও কেন্দ্রের অগ্রাহ্যের মানসিকতা টিডিপিকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের রাস্তায় ঠেলে দিল বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞেরা। সংসদে টিডিপির ১৬ জন সাংসদ রয়েছেন। এদিন টিডিপি শরিক অবস্থান থেকে সরে আসায় এনডিএ-র ঝুলিতে থাকা ১৬টি আসন কমল। আগামী সোমবার সংসদে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাবও আনতে চলেছে টিডিপি।
উত্তরপ্রদেশে সপা, বসপার জোট ইতিমধ্যেই উপনির্বাচনে বিজেপির দুর্গে জয়ধ্বজা উড়িয়েছে। ক্রমশ জমাট বাঁধছে বিজেপি বিরোধী দলগুলি। এই অবস্থায় টিডিপির মত এক শরিকের এভাবে বিজেপি ছেড়ে যাওয়া গেরুয়া শিবিরের জন্য খুব ভাল খবর নয় বলে মেনে নিচ্ছেন অনেক রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞই। হতে পারে ১৬টি সাংসদ থাকা টিডিপি এনডিএতে থাকল না গেল তাতে কেন্দ্রের গায়ে কোনও আঁচ আসবে না। কিন্তু ২০১৯-এর আগে যখন বিজেপি বিরোধী দলগুলি নিজেদের মধ্যে জোট বাঁধতে শুরু করেছে, সেখানে টিডিপিকে হাতছাড়া করার খেসারত দিতে হবে না তো? নাকি অন্ধ্র দখলে জগন্মোহন রেড্ডিকে কোনওভাবে পাশে পাওয়ার পাল্টা অঙ্ক কষছে বিজেপি? আপাতত অন্ধ্র রাজনীতি কোন পথে এগোয় সেদিকে চেয়ে অনেকে। কারণ আগামী বছর শুধু লোকসভা নির্বাচনই নয়, অন্ধ্রে বিধানসভা নির্বাচনও।