রাত তখন আড়াইটে। যমুনা এক্সপ্রেসওয়ে ধরে ছুটে চলেছে একটি টয়োটা ইনোভা। তাঁর গাড়ি তিনি নিজেই চালাচ্ছিলেন বার্থ ডে বয় চিকিৎসক হর্ষদ ওয়াংখেড়ে। বছর ৩৪-এর ওই চিকিৎসকের সঙ্গে গাড়িতে ছিলেন বেশ কয়েকজন জুনিয়র সহকর্মী। প্রত্যেকেই চিকিৎসক। প্রত্যেকেরই দিল্লি এইমসের জরুরি ঔষধ বিভাগের চিকিৎসক। সকলের গন্তব্য ছিল আগ্রা। সেখানেই রবিবার চিকিৎসক হর্ষদ ওয়াংখেড়ের জন্মদিন পালন করার কথা।
আড়াইটে নাগাদ গাড়িটি আচমকাই মথুরা জেলার কাইতি গ্রামের কাছে হাইওয়েতে একটি চলন্ত ট্রাকের পিছনে ধাক্কা মারে। প্রবল গতি থাকায় গাড়িটি মুহুর্তে দুমড়ে মুচড়ে ছিটকে যায়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় স্টিয়ারিংয়ে থাকা হর্ষদ ওয়াংখেড়ে, চিকিৎসক যশপ্রীত সিং ও চিকিৎসক হেমবালার। বাকি ৪ জন চিকিৎসক গুরুতর আহত। তাঁদের হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে। পুলিশের ধারণা গাড়ি চালাতে চালাতে হয়তো চিকিৎসক হর্ষদ ওয়াংখেড়ের চোখ লেগে গিয়েছিল। আর তাতেই ঘটে যায় ভয়ংকর দুর্ঘটনা। দুর্ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।