National

দূষণ কমাতে ৫০০ কুইন্টাল আম গাছের কাঠ আর ঘি পুড়িয়ে ‘মহাযজ্ঞ’

সবুজ বাঁচালেই বাঁচবে পরিবেশ, কমবে দূষণ। চিরাচরিত এই বৈজ্ঞানিক দাবিকে সম্পূর্ণ পাল্টে দিল উত্তরপ্রদেশের মেরঠের শ্রী আয়ুতচণ্ডী মহাযজ্ঞ সমিতি। অভিযোগ, পরিবেশ দূষণ রোধে সমিতির উদ্যোগে ধ্বংস করা হল শয়ে শয়ে আম গাছ। সেই গাছের কাঠ মজুত করা হয়েছে মেরঠের বৈশালী এলাকার ১২৫ বাই ১২৫ বর্গফুটের যজ্ঞশালায়। যজ্ঞাগারটিতে তৈরি করা হয়েছে ১০৮টি যজ্ঞের কুণ্ড। সেই কুণ্ডে ৯ দিন ধরে পোড়ানো হবে ৫০০ কুইন্টাল কাঠ। কাঠের আগুনে সম্পন্ন ‘মহাযজ্ঞ’-এর অগ্নিশিখাকে ৯ দিন ধরে জ্বালিয়ে রাখতে ব্যবহার করা হচ্ছে খাঁটি দুধ দিয়ে তৈরি মণ মণ ঘি। আহুতির অন্যান্য উপকরণের মধ্যে আছে ১০০ কুইন্টাল কালো তিলের বীজ, ৬০ কুইন্টাল চাল আর ৩০ কুইন্টাল বার্লি। যজ্ঞানুষ্ঠান সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে বারাণসী থেকে আনা হয়েছে সাড়ে ৩০০ ব্রাহ্মণকে। গত রবিবার থেকেই শুরু হয়ে গেছে মহাযজ্ঞের মহা আয়োজন। পরনে গেরুয়া পোশাক পরে যজ্ঞের তত্ত্বাবধানে দিনরাত কাজ করে চলেছেন কিশোর, যুবক, বৃদ্ধ সকল সদস্যই।

সমিতির সদস্যদের দাবি, প্রাচীন হিন্দুধর্মে যজ্ঞের সাহায্যে পরিবেশের বিশুদ্ধিকরণের নিদান রয়েছে। উত্তরপ্রদেশের মেরঠের দূষিত জলবায়ুকে শুদ্ধ করতে এই মহাযজ্ঞ জরুরি ছিল বলে জানিয়েছেন যজ্ঞের আয়োজকরা। তাঁদের আরও দাবি, যজ্ঞ শেষ হোক। তারপরেই শহরের বিশুদ্ধ বাতাস অনুভব করতে পারবেন মেরঠবাসী। কয়েকশো গাছ কেটে, আগুন জ্বালিয়ে, সাত মণ ঘি পুড়িয়ে কি আদতে মেরঠকে দুষিত করা হচ্ছে না? পাল্টা এই প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন পরিবেশপ্রেমীরা! গোটা বিষয়টি নজরে এসেছে উত্তরপ্রদেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণ পরিষদের। কিন্তু মহাযজ্ঞের সঙ্গে ধর্মীয় আবেগ জড়িয়ে থাকায় এ নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছে তারাও।



Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button