ফের রাজস্থানে সর্দি-কাশি সারাতে কুসংস্কারের শিকার হল এক শিশুকন্যা। গত বছর মার্চে সর্দি-কাশি-জ্বরে আক্রান্ত ১০ মাসের এক শিশুকন্যাকে সারিয়ে তুলতে তার গায়ে গরম লোহার রডের ছ্যাঁকা দিয়েছিল তার দাদু। এমন মারাত্মক টোটকার প্রয়োগে প্রাণে মারা যায় শিশুটি। এবার একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হল সেই ভীলওয়াড়াতেই। তবে এ যাত্রায় প্রাণে বেঁচে আছে ভীলওয়াড়ার রামাখেদা গ্রামের বাসিন্দা নন্দিনী নামের ৪ মাসের শিশুটি।
সূত্রের খবর, কয়েকদিন ধরেই মারাত্মক সর্দি কাশিতে ভুগছিল সে। কোনও ওষুধেই কাজ হচ্ছিল না। অভিযোগ, দুধের শিশুকে সুস্থ করতে ওষুধ নয়, বরং টোটকার আশ্রয় নিয়েছিলেন বাড়ির লোকজন। গরম লোহার রড দিয়ে শিশুকন্যার কচি পেটে বেশ কয়েকবার ছ্যাঁকা দেওয়া হয়। এতে শিশুটির অবস্থার আরও অবনতি হলে তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভর্তি করা হয় মহাত্মা গান্ধী হাসপাতালে। সেখানে শারীরিক পরীক্ষা নিরীক্ষার পর জানা যায়, শিশুটি রক্তাল্পতা ও হৃদযন্ত্রের সমস্যায় ভুগছে। ২৪ ঘণ্টা শিশুটির স্বাস্থ্যের দিকে নজর রাখছেন চিকিৎসকেরা। গত মঙ্গলবার ৪ মাসের শিশুটির গায়ে গরম লোহার রডের ছ্যাঁকা দেওয়ার ঘটনা জানতে পারে পুলিশ। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে রাজস্থানের শিশু সুরক্ষা সংগঠন।