দুর্গাপুজোর ৯ দিনের জন্য রয়েছে ৯টি রং, কোন দিন কোন রঙের পোশাক পরবেন
নবরাত্রি মানে মা দুর্গার ৯টি রূপ। যে ৯টি রূপে তিনি মহিষাসুরকে বধ করেন। এই ৯ দিনের প্রতিটি দিনের জন্য রয়েছে আলাদা আলাদা রং। এর পিছনে কারণও রয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গে দুর্গাপুজো মূলত ৫ দিনের। কিন্তু দেশজুড়ে নবরাত্রি কিন্তু পালিত হয় ৯ দিন ধরে। দুর্গা ৯টি রূপে প্রকাশিত হয়ে মহিষাসুরকে বধ করেন। দুর্গার সেই ৯টি রূপকে ৯ দিনে পুজো করা হয়। শেষ হয় দশেরা বা বিজয়াদশমী দিয়ে।
এখন সেই নবরাত্রি চলছে। নবরাত্রিতে ৯ দিনের জন্য রয়েছে ৯টি রং। যার পিছনে রয়েছে যথেষ্ট কারণ। এটাও বিশ্বাস করেন অনেকে যে এই ৯ দিনের যে দিনে যে রংয়ের কথা বলা হচ্ছে, সেদিন সেই রংয়ের পোশাক পরা ভাল।
দুর্গার ৯টি রূপের প্রথম রূপ হল শৈলপুত্রী। শান্তি ও সুরক্ষার প্রতীক এই দিন। এদিন সাদা রং পরা ভাল বলে মনে করা হয়। দ্বিতীয় দিন পূজিত হন ব্রহ্মচারিণী। এদিনটা ভালবাসার প্রতীক হিসাবে লাল রং পরার রীতি রয়েছে।
তৃতীয় দিন পূজিত হন দুর্গার তৃতীয় রূপ চন্দ্রঘণ্টা। এ দিনটিকে সমৃদ্ধির প্রতীক হিসাবে ধরা হয়। এদিন নীল রং বা রয়্যাল ব্লু পরার রীতি রয়েছে।
চতুর্থ দিন পূজিত হন কুষ্মাণ্ডা। আনন্দের প্রতীক হিসাবে এদিন হলুদ রঙের পোশাক পরার রীতি প্রচলিত। পঞ্চম দিন দুর্গা পূজিত হন স্কন্দমাতা রূপে। উন্নতি ও নতুন কিছু শুরুর প্রতীক বহন করার কারণে এই দিন সবুজ রংয়ের পোশাক পরার রীতি রয়েছে।
ষষ্ঠ দিন কাত্যায়নী রূপে পূজিত হন দুর্গা। এদিন ধূসর রংয়ের পোশাক পরার কথা বলা হয়েছে। সপ্তম দিন মা দুর্গা পূজিত হন কালরাত্রি রূপে। এদিন কমলা রংয়ের পোশাক পরার রীতি প্রচলিত। যা ইতিবাচক ভাবনার প্রতীক।
অষ্টম দিন দুর্গা পূজিত হন মহাগৌরী রূপে। এদিন ময়ূরপঙ্খী রংয়ের পোশাক পরার প্রচলন রয়েছে। অনন্য ভাবনার প্রতীক এটি। শেষ অর্থাৎ নবম দিনে মা দুর্গা পূজিত হন সিদ্ধিদাত্রী রূপে। দয়া ও সেবা ধর্মের প্রতীক হিসাবে এদিন গোলাপি রংয়ের পোশাক পরতে বলা হয়।