দুর্গার ৯ রূপ পূজিত হয় ৯ দিন ধরে, রইল নবরাত্রির সেই ৯ রূপের কথা
বাংলায় দুর্গাপুজো হিসাবে মা দুর্গা পূজিতা হন। কিন্তু বাংলার বাইরে এই সময় পালিত হয় নবরাত্রি। দুর্গার ৯টি রূপকে ৯ দিন ধরে পুজো করা হয়।
রাজ্যে দুর্গাপুজোর ঢাকে কাঠি পড়ে গেছে। তবে দেশজুড়ে কিন্তু নবরাত্রি শুরু হয়ে গেছে। গুজরাটে নবরাত্রিতে গরবা এক অন্যতম আকর্ষণ। দেশের নানা প্রান্তেই কিন্তু নবরাত্রি ধুমধাম করে পালিত হয়। এই নবরাত্রিতে দুর্গার ৯টি রূপ পূজিত হয়।
নবরাত্রির প্রথম দিনে পূজিতা হন মা দুর্গার শৈলপুত্রী বা শৈলজা রূপ। দ্বিতীয় দিন পূজিতা হন ব্রহ্মচারিণী রূপে। ব্রহ্মচারিণী হলেন জ্ঞান ও তপস্যার প্রতীক। তৃতীয় দিনে দেবী দুর্গা পূজিতা হন চন্দ্রঘণ্টা রূপে। চন্দ্রঘণ্টা ছাড়াও এই রূপ চণ্ডিকা বা রণচণ্ডী নামে পরিচিত। এই রূপে দেবীর ১০টি হাত ও প্রতিটি হাতে অস্ত্র থাকে।
চতুর্থ দিন কুষ্মাণ্ডা রূপে পূজিতা হন দেবী দুর্গা। এই কুষ্মাণ্ডা এসেছে কু, উষ্মা এবং অণ্ড থেকে। কু অর্থাৎ সামান্য, উষ্মা অর্থাৎ তেজ এবং অণ্ড অর্থাৎ মহাজাগতিক প্রাণ। এই থেকেই কুষ্মাণ্ডা।
নবরাত্রির পঞ্চম দিনে স্কন্দমাতা রূপে পূজিতা হন দেবী দুর্গা। স্কন্দ অর্থাৎ কার্তিক। সেই কার্তিকের মায়ের রূপ হল এই স্কন্দমাতা রূপ। দুর্গার এই রূপ অত্যন্ত স্নেহময় শান্ত রূপ।
ষষ্ঠ দিনে দেবী দুর্গা পূজিতা হন কাত্যায়নী রূপে। এই কাত্যায়নী রূপেই মহিষাসুরকে বধ করেন দেবী দুর্গা। সপ্তম দিনে দেবীর কালরাত্রি রূপ দেখতে পাওয়া যায়। এই রূপে দুর্গার গায়ের রং কালো, এলো চুল। নবরাত্রির ৯টি রূপের মধ্যে এই রূপকেই দেবীর সবচেয়ে শক্তিশালী রূপ হিসাবে চিহ্নিত করা হয়।
অষ্টম দিনে দেবী মহাগৌরী রূপে পূজিতা হন। এই রূপে দেবীর চারটি হাত। একটি হাতে ডমরু ও অন্য হাতে ত্রিশূল শোভা পায়। নবরাত্রির শেষে অর্থাৎ নবম দিনে দেবী দুর্গা পূজিতা হন সিদ্ধিদাত্রী রূপে। এই রূপে দেবী পদ্মের ওপর বসে আছেন। তাঁর ৪টি হাত।
একটি হাতে গদা, অন্য হাতে চক্র, আর এক হাতে শঙ্খ আর চতুর্থ হাতে পদ্ম শোভা পায়। এই ৯ রূপের মধ্যে দিয়েই পালিত হয় নবরাত্রি। যার পরদিন হয় বিজয়াদশমী, যা সারা দেশে দশেরা হিসাবে পালিত হয়।