বলিউডে দিনের পর দিন যৌন হেনস্থার শিকার হয়েও চুপ থাকা অভিনেত্রীদের জন্য একটা আলো হয়ে সামনে এসেছেন অভিনেত্রী তনুশ্রী দত্ত। নানা পাটেকরের বিরুদ্ধে মুখ খুলে কার্যত বলিউডে হ্যাশট্যাগ মি টু আন্দোলনকে গতি দিয়েছেন এই বাঙালি অভিনেত্রী। তাঁর সাহসিকতা দেখে এবার একে একে মুখ খোলা শুরুই করেছেন অনেক অভিনেত্রী। সেই তালিকায় যুক্ত হল প্রাক্তন ভারত সুন্দরী তথা অভিনেত্রী নীহারিকা সিংয়ের নাম। নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকি, ভূষণ কুমার, সাজিদ খানের মত বলিউডের তথাকথিত বড় বড় নামের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ করেছেন তিনি।
প্রায় সাড়ে ৩ হাজার শব্দের হ্যাশট্যাগ মি টু-তে তিনি দাবি করেছেন, তাঁর সঙ্গে নওয়াজউদ্দিনের আলাপ মিস লাভলি সিনেমা করতে গিয়ে। সেখানে নওয়াজের বিপরীতে ছিলেন তিনি। তাঁর সঙ্গে বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে নওয়াজের। তিনি তাঁকে নোয়াজ বলে ডাকতেন। একদিন তিনি তাঁর বাড়িতে নওয়াজকে দুপুরে খাওয়ার নিমন্ত্রণ করেন। নওয়াজ বেল বাজাতে তিনি দরজা খোলেন। চৌকাঠ পার করেই নওয়াজ তাঁকে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে ধরেন। তিনি জোর করে ছাড়াতে চাইলেও নওয়াজ ছাড়তে চাননি। নীহারিকা আরও বলেন, নওয়াজউদ্দিন তাঁর সঙ্গে শুধুমাত্র যৌন সম্পর্ক তৈরি করতে চেয়েছিলেন। এজন্য কার্যত ভিক্ষা চান তিনি। কিন্তু নীহারিকা জানিয়ে দেন তিনি কেবল বন্ধুত্বেই সম্পর্ক সীমাবদ্ধ রাখতে ইচ্ছুক। নওয়াজউদ্দিনকে যৌন নেশাগ্রস্থ মানুষ বলে দাবি করেন নীহারিকা।
নওয়াজউদ্দিনের পাশাপাশি নীহারিকা দাবি করেন তাঁকে ‘এ নিউ লাভ হিস্টোরি’ সিনেমার জন্য সই করান টি সিরিজের ভূষণ কুমার। সেদিন রাতে তাঁকে একটি এসএমএস করেন ভূষণ। লেখেন, তিনি নীহারিকাকে আরও ভাল করে জানতে চান। কিছুক্ষণের জন্য একসঙ্গে কাটানোর জন্য অনুরোধ করেন। পাল্টা নীহারিকা লিখে পাঠান, বেশ তো, একটি ডবল ডেটে যাওয়া যাক। ভূষণ কুমার তাঁর স্ত্রীকে নিয়ে আসবেন। আর নীহারিকা তাঁর বয়ফ্রেন্ডকে। নীহারিকা লেখেন, এরপর ওই প্রজেক্টের জন্য তাঁকে আর কোনও অর্থ দেওয়া হয়নি। পরিচালক সাজিদ খানকেও ছাড়েননি নীহারিকা।
(সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা)